আইইউবিতে নজরুল জয়ন্তী উদযাপন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম শুধু গান, কবিতা, সাহিত্য আর নাটকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন। তাঁর ছিল আধুনিক ও মুক্তচিন্তার আদর্শ ও দর্শন। এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমানে প্রতিটি মানুষকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে হবে। গড়ে তুলতে হবে ঐক্য ও সাম্যের এক কাঙ্ক্ষিত সমাজ।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মজয়ন্তী গত বৃহস্পতিবার পালন করেছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারা। ওই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে আইইউবির ডিপার্টমেন্ট অব ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ এবং কাজী নজরুল ইসলাম-আব্বাসউদ্দিন আহমেদ রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডি সেন্টার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবির নাতনি খিলখিল কাজী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইইউবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মিলান পাগন।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে নজরুলকে নিয়ে আইইউবির ডিপার্টমেন্ট অব ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজের উপদেষ্টা অধ্যাপক নিয়াজ জামানের লেখা ‘কাজী নজরুল ইসলাম: পোয়েট্রি, পলিটিকস, প্যাশন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বিশ্বজুড়ে বর্তমানে যে উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে নজরুলের সাহিত্যচর্চা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। খিলখিল কাজী বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে আরও বেশি করে নজরুলকে পৌঁছানোর দরকার।

দেশপ্রেম, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িক জীবন ও রাষ্ট্র গঠনে নজরুলের বাণী সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। জাতীয় পর্যায়ের এ আয়োজনে নজরুলের জীবন ও রচনা নিয়ে আরও আলোচনা করেন মোহিতুল ইসলাম ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নজরুল গবেষক দেবযানী সেনগুপ্তা। এ ছাড়া সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তৃতা করেন আইইউবির ডিপার্টমেন্ট অব ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজের প্রধান তৌহিদ বিন মুজাফফর।