বিদেশে উচ্চশিক্ষার অ-আ-ক-খ

>

মডেল: আনতারা ও সৌরভ। ছবি: খালেদ সরকার
মডেল: আনতারা ও সৌরভ। ছবি: খালেদ সরকার

উচ্চশিক্ষার জন্য যাঁরা বিদেশে যেতে চান, তাঁদের জন্য প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপপ্রাপ্ত, ইউনিভার্সিটি অব নিউক্যাসল, অস্ট্রেলিয়ার পিএইচডি গবেষক বিপাশা মতিন

প্রায়ই শুনি, অমুক বন্ধু বৃত্তি পেয়ে দেশের বাইরে পড়তে গেছে, তমুকের ছেলে বা মেয়ে হুট করে বিদেশে পড়তে চলে গেল।

না ভাই। এসব কাজ হুট করে হয় না। প্রস্তুতি নিতে কখনো এক বছর, কখনোবা তার চেয়েও বেশি সময় লেগে যায়। আজকের এই লেখা তাঁদের জন্য, যাঁরা ভিনদেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী। প্রস্তুতি শুরুর আগে একেবারেই প্রাথমিক কিছু বিষয় জেনে নেওয়া দরকার। সব তো আর ‘গুগল মামা’ গুছিয়ে বলতে পারেন না! ঠিক করেছি, আমি যতটা জানি, সেটাই জানাব।

প্রথমেই যে কাজ করতে হবে, তা হলো নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। যাত্রাটা সহজ নয়। অনেক প্রত্যাখ্যান আসবে, অনেক সময় মনে হবে, যা আপনার প্রাপ্য, তা-ও পাচ্ছেন না। দাঁতে দাঁত চেপে ভালো সময়ের অপেক্ষা করতে হবে।

দিনের একটা সময় এই সব কাজের জন্য বের করে নিতে হবে প্রথমেই। আমরা সবাই-ই ব্যস্ত, কিন্তু বাইরে পড়ার ইচ্ছাই যদি থাকে, তাহলে অন্য অনেক অপ্রয়োজনীয় কাজ ঝেড়ে ফেলতে পারলে কিছুটা সময় বেরিয়ে যাবে। আমি দিনের প্রথম ভাগেই ঠান্ডা মাথায় এই কাজগুলো করে ফেলতাম। বিকেলের পরের একটু সময় রাখতাম বিভিন্ন ই–মেইলের জবাব দেওয়ার জন্য।

তাই আপনি ঠিক করে নিন, কোন সময়টাতে এই কাজগুলো করবেন। সময় আপনার বের করে নিতেই হবে। প্রয়োজনে আড্ডা, ফেসবুকিং কিংবা অফিসের যেসব কাজ আপনাকে না করলেও হয়, সেগুলো বাদ দিন বা সীমিত করে ফেলুন। এরপর শুরু করুন।

আপনার একাডেমিক যত সার্টিফিকেট আছে, সেগুলো স্ক্যান করে নিন। সম্ভব হলে নোটারিও করে ফেলুন। সেই নোটারি কপিগুলো পিডিএফ করে রাখুন। কম্পিউটারে এ–সংক্রান্ত একটি ফোল্ডার তৈরি করুন এবং সেটার ভেতর এ–সংক্রান্ত সব নথি সংরক্ষণ করুন। যেমন সনদ, প্রপোজাল, সিভি, রেফারেন্স, অফার লেটার, স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি) ইত্যাদি। কী কী নামে ফোল্ডার করা যেতে পারে, সেটির একটি তালিকা (আমার ব্যবহার করা) আমি এক্সেল ফাইলে তৈরি করে রেখেছি। এক্সেল ফাইলটি ডাউনলোড করার লিংক পাবেন এই লেখার একদম শেষে। বিশ্বাস করুন, আপনার অনেক সময় বাঁচিয়ে দেবে প্রথম দিককার এই গোছানো কাজগুলো।


নথিপত্র সব গোছানোর ফাঁকেই প্রস্তুতি নিয়ে এবার আইইএলটিএস (যদি আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী অন্য কোনো ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা, যেমন জিআরই, জিম্যাট বা টোয়েফল দিতে চান, সেটাই দিন) পরীক্ষাটা দিয়ে ফেলুন। পরীক্ষার ফল হাতে পাওয়ার পর স্ক্যান করে পিডিএফ কপি একাডেমিক সনদের ফোল্ডারে রেখে দিতে হবে। ফাইলগুলো সংরক্ষণের সময় নিজের নামের শেষ অংশ ও তারপর ফাইলের নাম দিয়ে সেভ করা যেতে পারে। যেমন Matin Passport, Matin Certificate of MBA...। কারণ, বেশির ভাগ আবেদনের সময় এই ফরম্যাটেই চাওয়া হয়। তা ছাড়া ফরম্যাট আলাদা হলে তখন পরিবর্তন করে নেওয়া যেতে পারে। 


একটি এমন ওয়ার্ড ফাইল তৈরি করে রাখতে পারেন, যেখানে সব প্রাথমিক তথ্য টাইপ করা থাকবে। যেমন নিজের বাবার নাম, বাসার ঠিকানা, রেফারেন্সের নাম ও ফোন নম্বর, যদি কোথাও কর্মরত থাকেন, সেই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, আইইএলটিএস পরীক্ষার নম্বর, এনআইডি নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর ইত্যাদি। আবেদন করতে গেলে কতবার যে এসব টাইপ করতে হবে, তার ইয়ত্তা নেই। আমি একবারেই লিখে রেখেছিলাম এবং আবেদনের সময় যতবার লিখতে হয়েছে, এই ফাইল থেকে কপি-পেস্ট করে দিয়ে দিয়েছি। এতে আপনার অনেকটা সময় বাঁচবে। তা ছাড়া ‘অটোফিল’ অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন। কীভাবে করবেন, তা এক্সেল ফাইলে দিয়ে দিয়েছি। 


ভাবছেন আসল কথায় না এসে বড্ড বেশি বাড়তি কথা বলে ফেলছি? এখনো যে ‘দিল্লি বহুদূর’! ওই যে বললাম, আগে একটু গুছিয়ে নিন। পরে আর একদম সময় লাগবে না। আবেদন করতে প্রাথমিকভাবে কী কী লাগতে পারে, জেনে নিন। প্রথমত, আপনার সব একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সনদ, আইইএলটিএস স্কোর, পাসপোর্টের কপি, দুটি রেফারেন্স লেটার (সুপারিশপত্র), মোটিভেশনাল লেটার, অন্যান্য প্রশিক্ষণ বা কর্মশালায় অংশ নিয়ে থাকলে তার সনদ, সিভি ইত্যাদি লাগবে। প্রতিটি আবেদনের ক্ষেত্রেই একটা ‘মোটিভেশনাল লেটার’ বা ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’ (লক্ষ্যের বিবৃতি) লাগবে। গুগল থেকে নমুনা খুঁজে কপি-পেস্ট না করে নিজের সঙ্গে মানানসই একটি এসওপি লিখতে হবে। এই চিঠির উদ্দেশ্য হলো, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত বিষয়টিতে কেন পড়তে চান, তা বিস্তারিত লেখা। কপি-পেস্ট বা নকল করতে গেলে ধরা খেয়ে যাবেন। একাডেমিক সিলেকশন কমিটি কিন্তু পড়েই বুঝে ফেলবে, আপনি কোথা থেকে নকল করেছেন। পরে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ভাববেন, ‘ধুর, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না!’


এবার বলি, দেশ নির্বাচন করবেন কীভাবে। একেক দেশের একেক সময়ে সেমিস্টার শুরু হয়। তাদের চাহিদাও আলাদা থাকে। তাই আগেই ঠিক করে নিন, কোন কোন দেশে আবেদন করবেন। দুই থেকে তিনটা দেশে সীমাবদ্ধ থাকলে ভালো। তালিকায় থাকতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, চীন কিংবা ভারতও। 


কোন দেশে পড়তে যাবেন ঠিক করে ফেলার পর এবার ঠিক করতে হবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান। এ ক্ষেত্রে দুটো বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে খুব ভালো র​্যাঙ্কিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন, তাহলে টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিং বা কিউএস র​্যাঙ্কিং দেখে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারেন (লিংক পাবেন এক্সেল ফাইলে)। সে ক্ষেত্রে সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থাকলে ভালো। আর যদি মনে মনে ভাবেন, মোটামুটি মানের একটা বিশ্ববিদ্যালয় হলেই হবে, সে ক্ষেত্রে একটু গুগল করে নিলেও কিন্তু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া যাবে। তা ছাড়া আপনি যে বিষয়ে পড়তে যাবেন, সেটি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো পড়ায়, তার ওপর ভিত্তি করেও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা যায়। এ ক্ষেত্রে বৃত্তি, থাকার খরচ সব বিবেচনা করে নেওয়া ভালো (ভালো কথা; কোন বিষয়ে পড়বেন, কী পড়বেন—এসব ঠিক করা আছে তো? নইলে আবার প্রথম পয়েন্টে ফেরত যেতে হবে)। 


এবার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা করে ফেলতে হবে। তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে। কাদের কী চাওয়া, দেখতে হবে। এই সময় একেবারেই অধৈর্য হওয়া যাবে না। ধৈর্য ধরে নোট নিতে হবে। কীভাবে নোট নেবেন, তার একটা নমুনা এক্সেল ফাইলে পাবেন।


একটি নিজস্ব সিভি লাগবে। নিজস্ব বলছি এই কারণে, অনেক সময়ই দেখা যায় নিজের সিভিটাও আমরা কারও না কারও থেকে কপি করে দিই। এই একটা জায়গায় নিজস্বতা রাখুন। আপনার সিভি আপনারই প্রতিফলন। তা ছাড়া যিনি একটু সময় করে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজের সিভি নিজে তৈরি করতে পারেন না, তাঁর জন্য দেশের বাইরে পড়তে যাওয়া মনে হয় সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। সিভি নিয়মিত হালনাগাদ করে রাখা ভালো। তাই সিভি নিয়েও আলাদা একটি ফোল্ডার খুলতে বলেছিলাম। কোনো সিভি একটু একাডেমিক, আবার কোনোটা একটু সৃজনশীলভাবে তৈরি করা যেতে পারে। একাধিক ধরনের সিভি তৈরি থাকলে ভালো। 


এবার আসি ‘রেফারেন্স’–এর বিষয়ে। দুই থেকে তিনজন রেফারেন্স লাগবে, যারা কিনা আপনাকে চেনে, আপনার কাজ সম্পর্কে ধারণা আছে এবং তাঁরা আপনার পরিবারের কেউ নন। সব বিশ্ববিদ্যালয়ই এটা চাইবে। তাই দুজনকে ঠিক করা ভালো—প্রথমত, আপনার একজন সরাসরি শিক্ষক, দ্বিতীয়ত, আপনি যদি চাকরি করেন, তাহলে আপনার সরাসরি ঊর্ধ্বতন। সাধারণত দুজন প্রয়োজন হলেও আমি বলব চারজন ঠিক করে রাখা ভালো। কারণ, তাঁরা ব্যস্ত থাকতে পারেন এবং রেফারেন্সের উত্তর দিতে ভুলেও যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আপনার কাছ থেকে বিকল্প রেফারেন্স চেয়ে নিতে পারে, আবার অনেক সময় আবেদন বাতিলও করে দিতে পারে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে চার-পাঁচজন রেফারেন্স রাখুন। তাঁদের অবশ্যই জানিয়ে রাখবেন আপনি বাইরে পড়াশোনা করতে আগ্রহী এবং আপনি তাঁদের রেফারেন্স হিসেবে রাখতে চান। তাঁরা সম্মতি দিলেই তাঁদের নাম আপনি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। মনে রাখবেন, আপনার এই রেফারেন্স কিন্তু আবেদন গৃহীত হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ বড় ভূমিকা রাখবে। তাই এমন কারও নাম রেফারেন্সে দিন, যাঁর সঙ্গে আপনার ভালো সম্পর্ক আছে, যিনি আপনার জন্য সময় বের করে রেফারেন্স লিখে দেবেন। দুভাবে রেফারেন্স চাওয়া হতে পারে। এক, আপনি নিজে রেফারেন্স লেটার আপলোড করবেন অথবা দুই, বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কলারশিপ কমিটি নিজেরাই আপনার রেফারেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং তাঁদের কাছে মতামত চাইবে। দুটোর জন্যই প্রস্তুত থাকবেন 

১০
এসব কাজ ঠিকঠাক হয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবার আবেদন করা যেতে পারে। মনে রাখবেন, একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেক সময়ে সেশন, তাই তাদের ভর্তি শুরুর সময় মনে রাখতে হবে এবং সেই অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। পরে আফসোস করে লাভ নেই। এ ক্ষেত্রে আমার দেওয়া এক্সেল ফাইলটি ব্যবহার করা যেতে পারে এবং সে অনুযায়ী গুগল ক্যালেন্ডারে নির্ধারিত সময় মার্ক করে রাখতে হবে। মনে রাখবেন, কোনো সুযোগই হাতছাড়া করা যাবে না। 

১১
আরেকটি বিষয়, হয়তোবা খুবই ছোট কিন্তু তারপরও আপনার অনেক কাজ সহজ করে দেবে—তা হলো, ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড। আমরা একবারে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করব। আবেদনের সময় অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কখনো তারাই ইউজার নেম ঠিক করে দেবে, কখনোবা আমাদের ঠিক করে নিতে হবে। কিন্তু সমস্যা হয় যখন দ্বিতীয়বার ওই সাইটে ঢুকতে যাই, তখন হয় ইউজার নেম মনে থাকে না, নয়তো পাসওয়ার্ড। সময় নষ্ট হয়। দুইটা কাজ করা যেতে পারে। এক, রিমেম্বার মি অপশন দিয়ে রাখলে ‘পাসওয়ার্ড ম্যানেজার’ আপনার পাসওয়ার্ড মনে রাখবে, নয়তো আমার মতো এক্সেল ফাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, ওয়েবসাইটের লিংক আর পাসওয়ার্ড লিখে রেখে দেবেন। যতবার এ রকম অ্যাকাউন্ট খুলবেন, সঙ্গে সঙ্গেই এক্সেল ফাইলে টুকে রাখবেন। 

১২
এবার আসি বৃত্তি প্রসঙ্গে। এক্সেল ফাইলটিতে কিছু বৃত্তির নাম দিয়ে দিয়েছি। কয়েকটা ওয়েবসাইটে নিয়মিত নজর রাখতে হবে। যেমন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ওয়েবসাইট ইত্যাদি। এমন বিভিন্ন বৃত্তির খবরের লিংক দিয়ে রাখলাম এক্সেল ফাইলে। পাশাপাশি কিছু ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হয়ে নিতে পারেন। বিভিন্ন দেশভিত্তিক আলাদা আলাদা এসব গ্রুপে বেশ ভালো কিছু পোস্ট সাজেশন পাওয়া যায়। কিছু গ্রুপের লিংক এক্সেল ফাইলে দিয়ে রেখেছি। চাইলে যুক্ত হয়ে নিতে পারেন। আরেকটি বিষয়, কোনো কোনো সময় ভর্তি আগে হয়, পরে বৃত্তির আবেদন করতে হয়। কখনোবা আগে বৃত্তির আবেদন, তারপর ভর্তি; আবার কখনো দুটো একবারেই করে নিতে হয়। তাই কে কী বলল, তাতে চিন্তিত বা হতাশ হয়ে পড়বেন না। প্রক্রিয়া আলাদা হতেই পারে।

এই সব গোছানো শেষ হয়ে গেলে সময় করে আবেদন করা শুরু করে দিন। আবারও বলি, প্রস্তুতি না নিয়ে হুট করে আবেদন করে ফেলবেন না। তাহলে প্রত্যাখ্যাত হতে পারেন। এই প্রত্যাখ্যান কিন্তু আপনার বাইরে পড়তে যাওয়ার অনুপ্রেরণা নষ্ট করে দেবে। তাই দরকার হলে সাত-আট মাস সময় নিন প্রস্তুতির জন্য। সেশন ঠিক করুন, বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করুন, বিষয় ঠিক করুন, বৃত্তির জন্য আবেদন করুন। সব ঠিক থাকলে ফলাফল আপনার মনের মতোই হবে। আপনার জন্য শুভকামনা। আর হ্যাঁ, যে এক্সেল ফাইলের কথা শুরু থেকে বলছি, সেটি পাবেন এই লিংকে: gg.gg/projecthelp