এইচএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে

এইচএসসি পরীক্ষার ফল পেয়ে রাজউক কলেজের শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস। উত্তরা, ঢাকা, ১৭ জুলাই। ছবি: তানভীর আহাম্মেদ
এইচএসসি পরীক্ষার ফল পেয়ে রাজউক কলেজের শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস। উত্তরা, ঢাকা, ১৭ জুলাই। ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

২০১৯ সালে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শুধু উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এর মধ্যে ফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৪১ হাজার ৮০৭ জন। অর্থাৎ, ১০ বোর্ডে যতজন জিপিএ–৫ পেয়েছেন, এর বেশির ভাগই এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে এবার মোট জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও সব বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফলাফল–সম্পৃক্ত কিছু তথ্য তুলে ধরেন।

গতবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গড় পাসের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এইচএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়েছিলেন ২৫ হাজার ৫৬২ জন। অর্থাৎ, এবার এইচএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ–৫ দুটোই বেড়েছে।

অন্যদিকে, এবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং জিপিএ–৫ পেয়েছেন ২ হাজার ২৪৩ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৬ জন।

এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১০টি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন।

আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত ফলাফল প্রকাশ করবে। আর পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে বেলা একটায়।

গত ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।