বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রদের উৎসাহিত করতে হোন্ডা ইয়েস অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম

রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সম্প্রতি ইয়েস অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সম্প্রতি ইয়েস অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। ছবি: সংগৃহীত

হোন্ডা ফাউন্ডেশন আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশে হোন্ডা ইয়েস (ইয়াং ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড সায়েন্টিস্ট’স) অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম শুরু করেছে। রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সম্প্রতি এই অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।

হোন্ডা ফাউন্ডেশন (এইচওএফ) বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের (বিএইচএল) মাধ্যমে ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন সেন্টারের (জেআইসিই) সহযোগিতায় এই প্রোগ্রাম চালু করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হোন্ডা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকিহিরো কামিওকা, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিমিহিকো কাতসুকি, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (রুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম শেখ, জাইকার মহাব্যবস্থাপক হিতোশি হিরাতা, একমাত্রা সোসাইটির হিরোকি ওয়াতানাবে, বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগের প্রধান শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা।

এশীয় দেশগুলোর ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে উৎসাহিত করাই এই পুরস্কারের প্রধান লক্ষ্য। ইয়েস অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য—ভবিষ্যৎ উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো উদ্ভাবনী দক্ষতাসম্পন্ন ছাত্রদের খুঁজে বের করে অনুপ্রাণিত করা।

এই পুরস্কার কর্মসূচির শুরু ২০০৬ সালে ভিয়েতনামে। এরপর ভারত, কম্বোডিয়া, লাওস ও মিয়ানমারে এই পুরস্কার প্রচলন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পুরস্কারটি এবার বাংলাদেশেও চালু হলো।

বাংলাদেশে ইয়েস অ্যাওয়ার্ড প্রচলনে চারটি পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিকে সম্পৃক্ত করার কথা ভাবা হয়েছে। এগুলো হলো—বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট), চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (চুয়েট), খুলনা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (কুয়েট) ও রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিকে (রুয়েট)।

নির্ধারিত এই চার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর নির্বাচিত চারজন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ছাত্রের প্রত্যেককে ৩ হাজার ডলার করে প্রদান করা হবে। তা ছাড়া হোন্ডা ইয়েস অ্যাওয়ার্ড প্লাস প্রোগ্রামের অধীনে এই বিজয়ীরা বছরে পুরস্কার বা অনুদান হিসেবে অতিরিক্ত ১০ হাজার ডলার পেতে পারেন।

গতির স্বাধীনতা ও আনন্দকে পূর্ণতা দিতে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচএল) পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে একটি করে মোটরসাইকেলও উপহার দেবে।