২৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে ইউজিসির সতর্কতা

মামলা-মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে এ রকম ২৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ‘ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা’ শিরোনামে গত বৃহস্পতিবার ইউজিসির ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এতে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিদ্যমান অবস্থা বিস্তারিতভাবে দেওয়া হয়েছে।

ইউজিসির কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চশিক্ষায় ভর্তির এই সময়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সতর্ক করতেই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির সময় এ রকম ভাবে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় ইউজিসি। দেশে বর্তমানে ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন আছে।

ইউজিসির দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, মালিকানার দ্বন্দ্ব নিয়ে চলা ‘ইবাইস ইউনিভার্সিটির’ অনুমোদিত কোনো ঠিকানা নেই। দুটি বিশ্ববিদ্যালয় সরকার বন্ধ করলেও আদালতের রায় পক্ষে গেছে। কিন্তু এর মধ্যে ‘আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে’ আইনানুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মতো সুযোগ-সুবিধা নেই। আর ‘দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লাকে’ এখনো শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় শুরুর অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলছে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

১০টি বিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিত ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। আর নয়টিতে এখনো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি। বাকিগুলোতে কারও কারও মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। কেউ কেউ অননুমোদিত প্রোগ্রাম চালাচ্ছে। কারও কারও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া অনিয়মের কারণে আদালতের আদেশে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধ করা হয়েছে।

ইউজিসির প্রকাশিত তথ্য বলছে, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনকারী ৯৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৫ টিতে উপাচার্য আছে। বাকি ১৮ টিতে নেই। এ ছাড়া মাত্র ২৩ টিতে সহউপাচার্য ও ৪৮ টিতে কোষাধ্যক্ষ আছে। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা, ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়নি।