জাবিতে ভর্তি ফরমের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ভর্তি ফরমের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: মাইদুল ইসলাম
ভর্তি ফরমের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: মাইদুল ইসলাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফরমের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ব্যানারে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের কয়েকটি সড়ক ও অনুষদ ভবন ঘুরে পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটি সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদ ও ৩টি ইনস্টিটিউটের অধীনে ১০টি ইউনিটে ভর্তির আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রতিটি ইউনিটে গত বছরের চেয়ে আবেদন ফি ৫০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে বি, সি, ডি এবং ই ইউনিটের ভর্তি ফরমের মূল্য ৬০০ টাকা ও সি১, এফ, জি, এইচ এবং আই ইউনিটের ফরমের মূল্য ৪০০ টাকা করা হয়েছে। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে এ, বি, সি এবং ডি ইউনিটের (তখন ৪ টি ইউনিটই ছিল) ভর্তি ফরমের মূল্য ছিল ৩৫০ টাকা। সে হিসাবে গত ৮ বছরে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের ফি বেড়েছে ৭২ শতাংশ।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, ‘২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ফরম বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা আয় করে। ভর্তির যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ছিল ৯ কোটি টাকা। এই অবশিষ্ট টাকা ভর্তি পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকেরা পারিশ্রমিক বা সম্মানী হিসেবে পকেটস্থ করেছেন। ভর্তি-ইচ্ছুকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে প্রশাসনের পকেট ভর্তি করার এ সংস্কৃতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সমন্বয়ক আবু সাঈদ বলেন, ‘ভর্তি ফরমের মূল্য বৃদ্ধির ফলে একজন ভর্তি ইচ্ছুককে শুধু ফরম পূরণ করতেই আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর পক্ষে এই টাকা খরচ করা প্রায় অসম্ভব। শিক্ষকদের এই ভাগ–বাঁটোয়ারার ফলে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ওপর শোষণ যেমন বাড়ছে, তেমনি শিক্ষকদের ভোগ–বিলাসের মাত্রাও বাড়ছে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম ও জয়নাল আবেদীন।