বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হলো সেই ছাত্রীর

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নুর উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই আদেশে বলা হয়েছে, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকেরা দুঃখ প্রকাশ করে জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেন। শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এবং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবেদন আমলে নিয়ে জিনিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হয়।

আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করি। জিনিয়া আমাদের সন্তানের মতো, ওর বয়স কম। তাই আমরা ওর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রশাসনের কাছে আবেদন করি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

এ বিষয়ে ফাতেমা-তুজ-জিনিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে কোনো আবেদন করিনি। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেন আমার হয়ে ক্ষমা চাইবেন? আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। কাউকে ক্ষমা চাইতেও বলিনি। আমি জানি, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যায়নি।’

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে শিক্ষকদের নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া ও উপাচার্যের ফেসবুক আইডি হ্যাক করার অভিযোগ এনে ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করা হয়।