ছাত্রলীগ নেতাকে ধাওয়া, নতুন প্রক্টরের যোগদান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পরেও দলীয় টেন্টে আসায় তাঁকে ফের ধাওয়া দিয়েছেন ছাত্রলীগের বড় একটি অংশের নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে ছাত্রলীগের আন্দোলনের মুখে গতকাল রোববার রাতে প্রক্টর মাহবুবর রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম আজ মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসেন। পরীক্ষা শেষে দলীয় টেন্টে যান তিনি। এ সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইলিয়াস জোয়ার্দার, রাসেল জোয়ার্দারসহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত উপস্থিত ছিলেন। রাকিবুল দলীয় টেন্টে বসার বিষয়টি জানতে পেরে আন্দোলনকারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের জিয়া হল মোড় এলাকায় জড়ো হন। পরে তাঁরা রাকিবুলকে ধাওয়া দেন। এ সময় রাকিবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে চলে যান। সেখানেও মিছিল নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। খবর পেয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান রাকিবুল। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে ক্যাম্পাসকে বহিরাগতমুক্ত করতে ও শিক্ষক-কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার দাবি জানান।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। পরীক্ষা শেষে টেন্টে কিছুক্ষণ অবস্থান করেই কুষ্টিয়া চলে এসেছি। পরে কী হয়েছে আমার জানা নেই।’

গত শুক্রবার রাকিবুল ইসলাম ক্যাম্পাসে এলে তাঁকে ধাওয়া দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। সেদিনও তাঁর বিরুদ্ধে বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে আসার অভিযোগ তোলেন নিজ দলের নেতা-কর্মীরা। এর আগে ৪০ লাখ টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অডিও ফাঁস হলে তাঁকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে সদ্য যোগদান করা প্রক্টর পরেশ চন্দ্র বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার সময় মিটিংয়ে ছিলাম। পরিবেশ আপাতত শান্ত রয়েছে।’ সকালে প্রক্টর হিসেবে যোগদান করেন পরেশ চন্দ্র বর্মণ। তিনি ছাত্র উপদেষ্টা। কাজের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সাময়িকভাবে প্রক্টরের দায়িত্ব দিয়েছে প্রশাসন। গতকাল রাতে মাহবুবরকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘সাময়িক দায়িত্ব এটা। তারপরও আমার প্রধান কাজ হবে বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত করা। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু ক্যাম্পাস জন্মলগ্ন থেকে এখানে বহিরাগতদের একটা প্রভাব আছে, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদেও দুই জেলার কর্তাব্যক্তিদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’