ঢাবি উপাচার্যসহ ছয়জনের পদত্যাগ চেয়ে প্রাক্তন ছাত্রের আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) দুই শীর্ষ নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহ-উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন করা, দায়িত্বে ব্যর্থতা, অনিয়মসহ নানা অভিযোগ তুলে এই পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।

ওই আইনজীবীর নাম মাহাবুবুল আলম। তিনি ১৯৮০-৮১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। ১৯৮৫ সালে সেখান থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তাঁর পরিবারের কয়েকজন বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

আইনি নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এনামউজ্জামান তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি। বরং ভর্তিপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কিছু শিক্ষার্থীকে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও নির্বাচিত হয়ে অবৈধভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিয়েছেন। এতে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন ও শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি জন–আস্থা ধ্বংস করে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি করেছেন। সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদও দায় এড়াতে পারেন না। ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী শিক্ষার মানমর্যাদা রক্ষা ও উন্নয়নে কর্তৃত্ববোধতাড়িত দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করেননি। ডাকসুর জিএস নজিরবিহীন দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করেছেন।

১৮ সেপ্টেম্বর নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ওই ছয়জনকে এর জবাব দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ওই আইনজীবী। তবে এখনো কারও পক্ষ থেকে জবাব এসেছে কি না, তা নিশ্চিত নন তিনি।

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান আজ সোমবার জানান, এ ধরনের কোনো নোটিশ তিনি পাননি।

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক বলেন, এ ধরনের একটি নোটিশের কথা তিনি জানতে পেরেছেন। তবে নোটিশটি তাঁর কাছে এখনো আসেনি। নোটিশ পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

নোটিশের বিষয়ে আইনজীবী মাহাবুবুল আজ প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও একজন অভিভাবক হিসেবে দায়িত্বের জায়গা থেকে তিনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন। এখনো কেউ জবাব দিয়েছেন কি না, তা এখনই বলতে পারছেন না তিনি।