উপাচার্যের 'জয় হিন্দ' বলার ব্যাখ্যা দিল রাবি প্রশাসন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

এক অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের ‘জয় হিন্দ’ বলা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের ব্যাখ্যা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপাচার্য এম আবদুস সোবহান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক ইতিহাসবিদ ও রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপাচার্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত করতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ সে দেশের জনগণের ভূমিকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই সহযোগিতার জন্য ভারতের মঙ্গল কামনা করতে গিয়ে উপাচার্য অতি প্রাসঙ্গিকভাবে ‘জয় হিন্দ’ শব্দযুগল ব্যবহার করেন। তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ উচ্চারণের পর এই শব্দযুগল উচ্চারণ করেছেন।

কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টির জন্য এই ধরনের বিভ্রান্তি ও সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষ মনে করে, গণমাধ্যমে সংবাদটি ‘অত্যন্ত চতুর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃত করে’ উপস্থাপন করেছে।

২৬ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে উপাচার্য ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলার পর ‘জয় হিন্দ’ বলেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির বক্তব্য দিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। গতকাল রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহা. এনামুল হক এক বিবৃতিতে ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। উপাচার্য তাঁর পদের চরম অবমাননা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ওই পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।