মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার, প্রার্থী ৭২৯২৮

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার সারা দেশে একযোগে ১৯ কেন্দ্রের ৩২ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে ১০ হাজার ৪০৪ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার ৯২৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এবার প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র হবে ভিন্ন ধরনের।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ সোমবার দুপুরে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত বিষয়াদি তুলে ধরেন স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিবের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুপ্রিয় কুমার কুণ্ডু।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর সরকারি ৪ হাজার ৬৮ আসন ও বেসরকারি ৬ হাজার ৩৩৬ আসনসহ মোট ১০ হাজার ৪০৪ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার ৯২৮ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন। গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার ৯ জন বেশি এবার আবেদন করেছেন। ঢাকা মহানগরের ৫টি কেন্দ্রের ১১টি ভেন্যুতে ৩৫ হাজার ৯৮৫ পরীক্ষার্থী এবং ঢাকা বাইরে ১৫টি জেলায় ৩৬ হাজার ৯৪৩ পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে কেন্দ্রগুলো তদারকির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ১০৭ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে কেন্দ্র ও ভেন্যুভিত্তিক টিম গঠন করে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিদর্শনকারী টিমসহ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, হেডফোন, ব্লুটুথসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা, বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ, পরীক্ষার দিন সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নির্বিঘ্নে চলাচল, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, কোচিং সেন্টার বন্ধ, ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখা, পরীক্ষাকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, প্রশ্ন ও উত্তরপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কুচক্রীমহলের অপরাধ তৎপরতা বন্ধে কার্যকর সব পদক্ষেপ ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সতর্কবার্তা থাকলে পরীক্ষার্থীদের আগেই পরীক্ষার হলে পৌঁছানোর জন্য খুদে বার্তা, বিজ্ঞপ্তি, টিভি স্ক্রলের মাধ্যমে অবহিত করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুত রয়েছে রয়েছে বলেও জানানো হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার দিন সকাল নয়টার মধ্যে আবশ্যিকভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ এবং পরীক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারি, বেসরকারি টেলিভিশন, দৈনিক পত্রিকা এবং মোবাইলে খুদে বার্তা প্রদানের মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পরীক্ষাসংক্রান্ত নিয়মাবলি তুলে ধরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিশিষ্ট কলামিস্ট আবুল মকসুদ, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ, সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান প্রমুখ।