ঢাবির 'ক' ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাস ১৩.০৫ শতাংশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ১৩.০৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন।

আজ রোববার দুপুরে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে অসামঞ্জস্য অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিভাবকদের কেউ কেউ।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা হয়েছিল। ‘ক’ ইউনিট ছাড়াও আজ প্রকাশ করা হয় চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের অঙ্কন পরীক্ষার ফলাফল। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৮.৫৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী।

‘ক’ ইউনিটে এবার ১ হাজার ৭৯৫ আসনের বিপরীতে ৮৮ হাজার ৯৯৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। তবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ৮৫ হাজার ৮৭৯ জন। তাঁদের মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক অংশে পাস করেছেন ২৫ হাজার ৯২৭ আর নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত অংশে সমন্বিতভাবে পাস করেছেন ১১ হাজার ২০৭ জন পরীক্ষার্থী।

‘চ’ ইউনিটে ১৩৫ আসনের বিপরীতে অঙ্কন পরীক্ষায় অংশ নেন ১ হাজার ২০২ জন শিক্ষার্থী। গত ২৮ সেপ্টেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৷ অঙ্কন পরীক্ষায় পাস করেছেন ৩৪৩ জন পরীক্ষার্থী।

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যালয়ে ‘ক’ ও ‘চ’ ইউনিটের ফল ঘোষণা করেন। ফল জানা যাবে https://admission.eis.du.ac.bd/ওয়েবসাইটে।

‘ক’ ইউনিটে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ২২ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিস্তারিত ফরম ও ‘চয়েস ফরম’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে পূরণ করতে হবে ৷ নির্ধারিত ফি দিয়ে ২২ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কার্যালয়ে ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে।

আর ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ২১ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে একই প্রক্রিয়ায় বিস্তারিত ফরম ও ‘চয়েস ফরম’ পূরণ করতে বলা হয়েছে। ২১ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে চারুকলা অনুষদের ডিন কার্যালয়ে ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে।

ক্ষোভ কোনো কোনো অভিভাবকের
এদিকে ‘ক’ ইউনিটের গণিত অংশের ফলাফল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়েছেন কোনো কোনো পরীক্ষার্থীর অভিভাবক। দূর্বা বিশ্বাস নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার বোনের ঢাবির ক ইউনিটের ম্যাথের রেজাল্ট অনাকাঙ্ক্ষিত এসেছে।’ এস এম আতিক নামের একজন লিখেছেন, ‘আমার বোনের ম্যাথের রেজাল্টই নাই লিস্টে।’ খন্দকার রিমন নামের একজন লিখেছেন, ‘আমার ভাইয়েরও হইছে এমন।’

ফলাফলে অসামঞ্জস্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এখন ব্যস্ত আছেন। এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।

প্রসঙ্গত, ৭৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক ও ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯০ মিনিটের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৫০ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় ছিল ৪০ মিনিট। প্রতিটি নৈর্ব্যক্তিকের জন্য ১.২৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা গেছে ০.২৫ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে হলে প্রার্থীকে নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৩০ ও লিখিত অংশে ১২ নম্বরসহ মোট ৪৮ নম্বর পেতে হয়েছে। এ ছাড়া বিষয়ভিত্তিকভাবেও পরীক্ষার্থীদের পাস করতে হয়েছে।