৭ কলেজে প্রতি বিভাগে ১৬ জন শিক্ষক চান অধ্যক্ষরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর বড় সাতটি সরকারি কলেজের প্রতিটি বিভাগে কমপক্ষে ১৬ জন করে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে দাবি করেছেন ওই সব কলেজের অধ্যক্ষরা। পদ সৃষ্টিতে সময় লাগায় আপাতত সংযুক্তির মাধ্যমে হলেও শিক্ষক দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তাঁরা।

রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আজ শনিবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ওই সাত কলেজের অধ্যক্ষরা বৈঠক করে এটিসহ কয়েকটি দাবি জানান। বৈঠকে উপস্থিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী দাবিগুলো সর্বোচ্চ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। এর মধ্যে যেগুলোতে বাজেটের প্রয়োজন আছে সেগুলোর বিষয়ে আলাদা করে লিখিত প্রস্তাব দিতে অধ্যক্ষদের পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাপ কমাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেন। এরই আলোকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ঢাকার বড় সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আসার পর পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনও করেন।

অভিযোগ উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে টানাপোড়েনের কারণে সমস্যা দীর্ঘ হয়। আজকের বৈঠকেও অধ্যক্ষদের পক্ষ থেকে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে টানাপোড়েনের প্রসঙ্গটি তোলা হয়। তবে তাঁরা বলেছেন, এখন শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসছেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের সঙ্গে তাল মেলাতে কলেজের প্রতিটি বিভাগে ১৬ জন করে শিক্ষক জরুরি। শিক্ষকের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করছে।

এ ছাড়া কলেজের বৈজ্ঞানিক ও কম্পিউটার ল্যাব আধুনিক করা, অবকাঠামো উন্নয়ন, কলেজগুলোতে কমপক্ষে পাঁচটি করে বাস দেওয়া, ক্যাম্পাসে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ আরও কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন অধ্যক্ষরা।