অপসারণের দাবিতে জাবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

উপাচার্য ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে তাঁর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: মাইদুল ইসলাম
উপাচার্য ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে তাঁর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: মাইদুল ইসলাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে তাঁর বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল শেষে উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছে। উপাচার্য অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন।

এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৈঠকের পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অবরোধ-ধর্মঘট কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মোহাম্মদ।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে প্রায় আড়াই মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের ‘মধ্যস্থতায়’ ছাত্রলীগকে বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগের তদন্তের দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়। দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ২ অক্টোবর থেকে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে গতকাল রোববার থেকে সপ্তাহব্যাপী লাগাতার অবরোধ-ধর্মঘট পালন করেছেন তাঁরা। টানা অবরোধ ও ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে গতকাল রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর হেয়ার রোডে শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে আন্দোলনকারী সাতজন শিক্ষকের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।