বশেমুরবিপ্রবির সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে বিদেশি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সহকারী প্রক্টর ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিদেশি ছাত্রী। আজ বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

ছাত্রীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. হুমায়ুন কবির ওই ছাত্রীর বিভাগে ক্লাস নিতেন। ক্লাস শেষে তিনি ওই ছাত্রীকে প্রায়ই ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলতেন। ফেসবুকেও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান শিক্ষক হুমায়ুন কবির। একপর্যায়ে তিনি ওই ছাত্রীকে ফেসবুকে মেসেজ দিয়ে অশ্লীল প্রস্তাব দিতে থাকেন। অন্য শিক্ষকদের কাছে বলে দেওয়ার কথা জানালে ছাত্রীকে নানাভাবে হুমকিও দেন তিনি।

অভিযোগকারী ছাত্রীর বক্তব্য, ‘ঘটনার ব্যাপারে কাউকে জানালে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো সার্টিফিকেট নিয়ে বের হতে দেবেন না বলে হুমকি দেন স্যার। এরপর থেকে আমি নিরাপত্তাহীনতা ও দুশ্চিন্তায় ভুগছি। আমার পড়াশোনায়ও বিঘ্ন ঘটছে।’

সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ুন কবির তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের আন্দোলনের সময় আমি সহকারী প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করে শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিই। সে সময় ফেসবুকে আমার নামে একটি ভুয়া আইডি খুলে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে আমি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রকে ধরিয়ে দেওয়ায় আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব নাটক করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পর মো. হুমায়ুন কবিরকে আবার সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. নুরউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিদেশি শিক্ষার্থী একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, একজন বিদেশি শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেল খোলা হয়েছে। বিষয়টি যৌন নির্যাতন সেল কমিটির কাছে দেওয়া হয়েছে। কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।