রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি চায় শিক্ষক সমিতি

ক্যাম্পাসে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকার দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর আবেদন জানিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সিন্ডিকেট সভা, অর্থ কমিটির সভা, নিয়োগ বোর্ড, বাছাই বোর্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সভা ক্যাম্পাসে করার দাবিও জানানো হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে শিক্ষক সমিতি উপাচার্য বরাবর এসব দাবি জানায়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ যোগদানের পর থেকে ক্যাম্পাসে ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত এবং রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকেন। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ ছাড়া উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতির বিষয়টি উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছানোর ফলে বিষয়টি শিক্ষক সমিতি গত ৬ অক্টোবরের নির্বাহী সংসদের সভায় তুলে ধরে। কিন্তু এরপরও শিক্ষক সমিতির সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে আলাদা এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অতি দ্রুত শিক্ষাছুটিসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন এবং ক্যাম্পাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা খোলার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানায় শিক্ষক সমিতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল গতকাল বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্প্রতি কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে কিছুদিন আমি আমার কক্ষে বসতে পারিনি। কিন্তু ওই সময় ভিসি স্যারের বাসভবনে দাপ্তরিক সব কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এ ছাড়া অন্য সময় অফিসে উপস্থিত থেকে কাজ করি।’

উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ আজ শুক্রবার বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির দাবি অযৌক্তিক। যখন ক্যাম্পাসে থাকি না, ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিসে বসে সব কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি।’

ব্যাংকের শাখা স্থাপন প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, খুব শিগগির ব্যাংকের শাখা স্থাপন করা হবে। জনতা ব্যাংক ও মেঘনা ব্যাংকের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আর শিক্ষকদের ছুটিসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্তও খুব শিগগির নেওয়া হবে।