গড়েছেন ক্যারিয়ার ক্লাব

মাহদী আল হাসান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মাহদী আল হাসান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

মাহদী আল হাসান পড়ছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে, খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে। বলছিলেন, ‘প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় সুন্দরবনের নাম ওঠাতে যখন জোর প্রচারণা চলছে, আমি তখন স্কুলে পড়ি। খবর পেয়ে বন্ধুদের নিয়ে সুন্দরবনকে ভোট দেওয়ার জন্য আশপাশের সবাইকে আহ্বান জানাতে শুরু করি। তখন থেকে আমার স্বেচ্ছাসেবী কাজের শুরু। এ ছাড়া স্কুলের দেয়ালিকার জন্য লেখা জমা দিতাম। একসময় দেয়ালিকা তৈরির দায়িত্বও চলে আসে কাঁধে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখার পর থেকেই ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবেন মাহদী। নিজেকে প্রস্তুত করতে চেষ্টা করেন নানাভাবে। বলছিলেন, ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার থেকে এপিএল এবং ওপিডি নামে দুটি কোর্স করেছি। বাংলাদেশের চাকরির বাজার কেমন, কারা এগিয়ে থাকছে, এসব সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। ভাবলাম, শুধু আমি জানলে তো হবে না, আরও মানুষকে জানাতে হবে। তাই ফেসবুকে আমাদের একটি গ্রুপের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের কাছে নানা ধরনের বিষয় শেয়ার করতে থাকি। যেমন: কোথায় বৃত্তি পাওয়া যাবে, কীভাবে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজের সুযোগ হতে পারে। এভাবেই ২০১৮ সালে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু করি ক্যারিয়ার ক্লাব।’

ক্লাবের মাধ্যমে মূলত পটুয়াখালীতে বসেই দেশের নানা প্রান্তের পেশা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যোগসূত্র স্থাপন করিয়ে দেন মাহদীরা। ‘লাইভ ক্যারিয়ার আড্ডা’ নামে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত ক্যাম্পাসের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা হয় অনলাইনের মাধ্যমে। তাঁরা দিয়ে থাকেন ক্যারিয়ার–সম্পর্কিত নানা পরামর্শ।

মাহদী বলেন, ‘আজকাল অনেক শিক্ষার্থী হতাশার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। আমি এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন মিলে যুক্ত আছি টার্ন টু পজিটিভ নামে একটি উদ্যোগের সঙ্গে। যাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়, আমরা তাদের মানসিক সহায়তা দিই।’