আমিরাত সফরের অভিজ্ঞতা শোনালেন ইডিইউর শিক্ষার্থীরা

ইয়াসার হোসেন বলুন বা আয়েশা তাসকিয়া কিংবা ত্রয়ী লালা, তাঁরা প্রত্যেকেই এখন ফ্রি ইকোনমিক জোন বা আইবিএমের মতো বিশ্বের অন্যতম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান কীভাবে পরিচালিত হয়, তা জানেন। কিংবা একটি শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কী রকম হওয়া উচিত, কেউ জিজ্ঞেস করলেই চটপট বলে দিতে পারবেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) ২০ জন শিক্ষার্থী। কেননা, দুবাই-আবুধাবির মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নগরীতে নিয়ে গিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা-জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে ইডিইউ।

ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জ্ঞান এবং নেতৃত্ব ও উদ্যোক্তা তৈরি করতে ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট লিডারশিপ এক্সপেরিয়েন্স (আইজিএলই) নামের এই কোর্স চালু করেছে ইডিইউ। বাংলাদেশে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রতি সেমিস্টারে বিশ্বের উন্নত বাণিজ্য নগরীগুলোতে নিয়ে যাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এতে প্রথম ব্যাচে অংশ নিয়েছেন ২০ জন শিক্ষার্থী। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন চারজন ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও তিনজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। আট দিনের এই সফর শেষে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন তাঁরা। তাঁদের এই সফরের অভিজ্ঞতা অন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আজ ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ‘এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং প্রোগ্রাম’-এর আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘ইডিইউকে বিশ্বাঙ্গনে তুলে ধরার অন্যতম পদক্ষেপ আমাদের এই কোর্স। বর্তমান বিশ্বায়নের ধারার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য পূরণের পাশাপাশি তাঁদের ক্যারিয়ারকে গতিময় করে তুলতে এই আয়োজন। অন্যান্য শিক্ষার্থীর মাঝে নিজেদের উন্নত করার স্পৃহা জাগিয়ে তুলতে আইজিএলই শিক্ষার্থীদের এই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা জরুরি।’

দুবাই-আবুধাবিতে বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা কয়েকটি সেশনে মিলিত হন। এসব সেশনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন স্ব–স্ব ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আমিরাতের টিকম গ্রুপের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শাজাদী দুররানি, আমিরাত এনবিডি ব্যাংকের গ্রুপ ক্রেডিটের ভাইস প্রেসিডেন্ট সোহরাব সায়ীদ, বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান আইবিএমের সফটওয়্যার ক্লায়েন্ট আর্কিটেক্ট রাহিদ খন্দকার, একটি আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক উজায়ের হাসান প্রমুখ।

নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে সৈয়দ মো. ফারহান বলেন, ‘এই কোর্সে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন ছাড়াও আমাদের মাঝে লিডারশিপ ও সফট স্কিল উন্নত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। নানান ধরনের টিম বিল্ডিং অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন আন্তর্জাতিক ট্রেনারগণ। আইজিএলই শুধু একটি কোর্স নয়, এটি আমাদের জন্য একটি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট।’

শিক্ষার্থী মাইমুনা মানিতা বলেন, ‘বিদেশি সংস্কৃতি, তাদের লোকজনের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে ছিল বহুদিনের। ইডিইউর এই কোর্সে সেই সুযোগটাই পেয়েছি। একেবারে ভিন্ন একটি পরিবেশে নিজেদের সক্ষমতাকে নিরূপণ করতে পারছি নতুন করে।’ বিজ্ঞপ্তি