নাচে, গানে, প্রাণে

রাইসা রওনাক
রাইসা রওনাক

রাইসা রওনাক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) থেকে নিচ্ছেন বিবিএর পাঠ। ক্যাম্পাসে অবশ্য তিনি ঋভু নামেই পরিচিত। নাচ, গান, খেলাধুলা—সবকিছুর সঙ্গেই তাঁর সখ্য। ছেলেবেলায় টেলিভিশনের সামনে বসে গুনগুন করে গান গাইতেন। তাই দেখে এক আত্মীয় বললেন, ‘তুমি গান শেখো না কেন?’ সেই থেকে শুরু। তা ছাড়া রাইসার পুরো পরিবারই সংস্কৃতিমনা। ছেলেবেলায় বাবা হয়তো শিখিয়ে দিতেন, কীভাবে একটা গান হারমোনিয়ামে তোলা যায়। আবার সুরে ভুল হলে ধরিয়ে দিতেন মা। এভাবেই একটু একটু করে শেখা। 

ক্যাম্পাসে বন্ধুরা যখন একত্র হন, রাইসা হয়ে যান আড্ডার কেন্দ্র। ‘ক্যাম্পাসে আলী মামার টংদোকানে চা খেতে খেতে আমাদের বেশি আড্ডা দেওয়া হয়,’ বলছিলেন রাইসা। কাজ করেছেন একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে। শোনালেন সেই গল্প, ‘আমি একসময় টিকটকে খুব সময় দিতাম। ফলোয়ারের সংখ্যাও ছিল অনেক। সেখান থেকে বিজ্ঞাপনটিতে কাজের সুযোগ পাই। নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাবও পেয়েছিলাম, তা আর করা হয়নি।’ 

 ন ডরাই চলচ্চিত্রের ‘যন্ত্রণা’ গানটি গেয়ে সেই ভিডিও রাইসা তুলে দিয়েছেন ফেসবুকে। সেখানে বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। জানতে চাইলে বললেন, ‘সুযোগ পেলেই কারাওকের সঙ্গে বিভিন্ন গান গেয়ে তা ফেসবুকে শেয়ার করি।’ 

গানের পাশাপাশি নাচেও অংশগ্রহণ রয়েছে ক্যাম্পাসের এই প্রিয়মুখের। র্যাম্প ও নাচে অংশগ্রহণ করেছেন ১৩তম ইন্টারন্যাশনাল নলেজ গ্লোবালাইজেশন কনফারেন্সের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি এবং তাঁর নাচের সঙ্গী তুলে ধরেন সিলেটের বিখ্যাত মণিপুরি নৃত্য। পেয়েছিলেন একটি মেডেলও। 

স্কুল-কলেজে নিয়মিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন রাইসা। গানে বেশির ভাগ সময় হতেন প্রথম বা দ্বিতীয়। ঢাকাতেই বেড়ে ওঠা রাইসার স্কুল ছিল শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবং কলেজ ছিল মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি কলেজ।

রাইসা রওনাক, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি