সিলেটে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

জেএসসিতে ভালো ফলে উচ্ছ্বসিত সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। ছবি: প্রথম আলো
জেএসসিতে ভালো ফলে উচ্ছ্বসিত সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। ছবি: প্রথম আলো

সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এ বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) পাসের হার ৯২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৭৭৩ জন। ১৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ। তবে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকস্বল্পতার কারণে গ্রামের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে খারাপ ফল করেছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছর ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৩২ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ বেড়েছে ২ হাজার ৭৫। গত বছর শতভাগ পাস ছিল ৭১টি প্রতিষ্ঠানে।

মেয়েরা এগিয়ে
ঘোষিত ফলে দেখা যায়, এবারের পরীক্ষায় ৮৭ হাজার ৮২৬ জন মেয়ে এবং ৬৫ হাজার ৭৭৩ জন ছেলে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৮১ হাজার ৯৯৮ জন মেয়ে ও ৬০ হাজার ৫৩৪ জন মেয়ে পাস করেছে। মেয়েদের পাসের হার ৯৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ আর ছেলেদের পাসের হার ৯২ দশমিক ০৩ শতাংশ। মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ২৩৫ জন আর ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫৩৮ জন।

সিলেট জেলা সেরা
শিক্ষা বোর্ডের অধীনে থাকা সিলেটের চার জেলার মধ্যে পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার ভিত্তিতে শীর্ষে আছে সিলেট জেলা। এ জেলায় মোট ৯৩ দশমিক ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৭৫২ জন। পাসের হারের ভিত্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে হবিগঞ্জ জেলা। ৯২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তবে এ জেলাটি জিপিএ-৫ পাওয়ার ভিত্তিতে আছে তৃতীয় অবস্থানে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯৫ জন।

পাসের হারে তৃতীয় অবস্থানে আছে মৌলভীবাজার জেলা। পাসের হার ৯২ দশমিক ৫২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২২ জন (দ্বিতীয় স্থান)। বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার ভিত্তিতে সবার নিচে আছে সুনামগঞ্জ জেলা। পাসের হার ৯১ দশমিক ৯০ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০৪ জন।

সংবাদ সম্মেলনে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হাবিবা বাছিত বলেন, ‘ফলাফল আরেকটু ভালো হতে পারত। ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা কিছুটা খারাপ করেছে। বিশেষ করে গ্রামের বিদ্যালয়গুলোয় ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকস্বল্পতার কারণে এমনটা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে যেন শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করে, সেদিকে গুরুত্ব দিতে বলা হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।’