পেশা প্রস্তুতির নানা আয়োজন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীরা আছেন ক্যারিয়ার ক্লাবের সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীরা আছেন ক্যারিয়ার ক্লাবের সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত

চাকরির বাজারে নিজেদের তৈরি করা, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একজন শিক্ষার্থীকে তাঁর পেশাজীবীর সম্পর্কে সচেতন করা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য তৈরি হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব। ২০১২ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল। দেখতে দেখতে তাঁদের বেশ বড় একটা পরিবার গড়ে উঠেছে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে। 

কথা হয় ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট ও বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদম শুরু থেকেই যুক্ত ছিলেন এই ক্লাবের সঙ্গে। শাহরিয়ার বলেন, ‘আমাদের সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাবকে তিনটি ভাগে ভাগ করা রয়েছে। স্কুল অব রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট, স্কুল অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং স্কুল অব নলেজ ডেভেলপমেন্ট। স্কুল অব রিসার্চ ডেভেলপমেন্টে একজন শিক্ষার্থীর গবেষণা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ধারণা হয়। আয়োজন করা হয় “রিসার্চ টক”। গবেষণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বক্তা হিসেবে আসেন। তাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেন।’

জানা গেল, ক্যারিয়ার ক্লাবে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশকে ত্বরান্বিত করার জন্য কাজ করে ‘স্কুল অব নলেজ ডেভেলপমেন্ট’। শিক্ষা, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে সেমিনার আয়োজন করে থাকে এই স্কুল। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নলেজ টক’। গত বছর প্রায় ৫টি নলেজ টকের আয়োজন করা হয় এবং সর্বশেষটির শিরোনাম ছিল ‘তারুণ্যের রাজনীতি ও সংস্কৃতির ভাবনা’। আলোচক হিসেবে ছিলেন লেখক ও অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। স্কুল অব স্কিল ডেভেলপমেন্টের কাজ হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীকে তাঁর দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করা। সেই লক্ষ্যে নিয়মিত আয়োজন করা হয় ক্যারিয়ার টক, সেমিনার এবং কর্মশালা।

ক্লাবের অন্যতম একটি বড় আয়োজন হলো ‘সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব ফেস্টিভ্যাল’; যেখানে সহশিক্ষা কার্যক্রমে দক্ষ ১০ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা। ক্যাম্পাসে পড়ালেখার বাইরে খেলাধুলা, সংগীত, বিতর্ক, সাহিত্য, উদ্ভাবন, নাটক, এমন নানা বিষয়ে মেধার পরিচয় দেন অনেক শিক্ষার্থী। তাঁদের সম্মান জানায় ক্যারিয়ার ক্লাব।

এ ছাড়া ক্লাবটি আয়োজন করে ‘জব ফেস্টিভ্যাল’। গত বছর এই ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় পর্বে অংশ নিয়েছিল ২৫টি প্রতিষ্ঠান। অনেক শিক্ষার্থী এই ফেস্টিভ্যালেই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে গেছেন। আবার প্রতিষ্ঠানগুলোই তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী দক্ষ জনবল পেয়েছে।

১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ ব্যান্ড ফোরাম আয়োজন করেছিল ইয়ুথ ফেস্ট। এই ইয়ুথ ফেস্টে যৌথভাবে সেরা সংগঠনের স্বীকৃতি পায় সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব, জানান শাহরিয়ার। বর্তমানে সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাবের রয়েছে আড়াই হাজারের বেশি সদস্য ও ৪৪ জনের একটি নির্বাহী কমিটি। শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসেই পেশাজীবনের সঙ্গে একটা যোগসূত্র করে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে তারা।