ভর্তি-তথ্যের জন্য ওপেন হাউস ডে

নানা দেশের শিক্ষার্থীরা পড়েন এই আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছবি: স্বপ্ন নিয়ে
নানা দেশের শিক্ষার্থীরা পড়েন এই আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছবি: স্বপ্ন নিয়ে

২০২০ সালের ভর্তি প্রক্রিয়াকে সামনে রেখে ওপেন হাউস ডের আয়োজন করছে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়—এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ)। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম শহরের এমএম আলী সড়কে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এটি অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন আগ্রহী অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ভর্তিপ্রক্রিয়া, কার্যক্রম ও একাডেমিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। আগ্রহী প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি ফরম পূরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে।

এইউডব্লিউ সূত্রে জানা যায়, ওপেন হাউস ডে-তে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য যোগাযোগ করা যাবে—০১৯২৬৬৭৩০১৬ নম্বরে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে (asian-university.org)।

 ২০০৮ সালে ১২৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে এইউডব্লিউ। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে বিশ্বের ১৯টি দেশের প্রায় ৯০০ ছাত্রী অধ্যয়ন করেছেন। যার সর্বশেষ সংযোজন লাওস ও পূর্ব তিমুরের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮ শতাংশ ছাত্রীই শতভাগ কিংবা প্রায় শতভাগ বৃত্তি নিয়ে পড়ালেখার সুযোগ পান।

বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, বায়োইনফরমেটিক্স, পাবলিক হেলথ, পলিটিকস, ফিলোসফি অ্যান্ড ইকোনমিকস—এই বিষয়গুলোতে বা দুটি মেজর বিষয়ে একসঙ্গে সম্মান পর্যায়ে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। এইউডব্লিউয়ের পরিচালক (ভর্তি) রেহেনা আলম খান বলেন, ‘আগ্রহী শিক্ষার্থীরা ওপেন হাউস ডেতে অংশ নিয়ে শিক্ষক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারবে। এ ছাড়া আমাদের সহশিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কেও তারা জানতে পারবে। আমাদের ৩২টি ক্লাব রয়েছে—এগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কেও তারা সেদিন ধারণা পাবে।’

গত ১২ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে অনেকেই স্ট্যানফোর্ড, অক্সফোর্ড, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এইউডব্লিউ ক্যাম্পাসে কথা হয় নবিতা ড্যা কস্টা ও থাডসাড়োন মুনসুফোম নামের দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন পূর্ব তিমুর ও দ্বিতীয় জন লাওস থেকে এসেছেন। তাঁরা মনে করেন, এখানকার পাঠদান ব্যবস্থা ও শিক্ষা কার্যক্রম বেশ উন্নত।