কেন্দ্রীয় নয়, গুচ্ছ ভিত্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

কেন্দ্রীয় নয়, সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সমমনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চারটি গুচ্ছে ভাগ করে এই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি গুচ্ছ করে, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আরেকটি গুচ্ছ করে এই ভর্তি পরীক্ষা হবে।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কার্যালয়ে উপাচার্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে ইউজিসির চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

তবে ১৯৭৩–এর আদেশে চলা চার বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আগেই জানিয়েছে, তারা ইউজিসির কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না।

বর্তমানে দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টিতে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ছাত্র ভর্তি করা হচ্ছে। এগুলোতে আসন আছে প্রায় ৬০ হাজার। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে প্রথমে গুচ্ছ ভিত্তিতেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউজিসি। কিন্তু হঠাৎ কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইউজিসি। যেখানে মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্যে আলাদা তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর কথা ছিল। কিন্তু পরে এটি নিয়ে দ্বিমত দেখা দেয়। অনেকে বলে আসছিলেন, গুচ্ছ ভিত্তি ভালো পদ্ধতি। কারণ, এটি একটি প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি। কারণ, মেডিকেল কলেজগুলোয় এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। এমনকি গত বছর সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এমন অবস্থায় আজকের সভায় আবারও গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য তিনটি পরীক্ষা (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা) হবে। আর অন্যান্য গুচ্ছে  সাধারণত একটি করে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এ ক্ষেত্রে যেসব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের বাইরের বিষয়ও পড়ানো হয় সেগুলোতে একাধিক পরীক্ষাও হতে পারে। তবে সেটাও হবে একই দিনে। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই পরীক্ষার মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী শাখা পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ বিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থী চাইলে মানবিকের কোনো বিষয়েও ভর্তির সুযোগ পাবেন। সে ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে এ ধরনের কোনো একটি ব্যবস্থা রাখা হবে। আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে এই ভর্তি পরীক্ষার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে।