বিজয়ী মাস্টারমাইন্ডের ২ শিক্ষার্থী

আদিত্য কুমার চৌধুরী ও ইফতেখার খালেদ
আদিত্য কুমার চৌধুরী ও ইফতেখার খালেদ

বাংলাদেশ স্টকহোম জুনিয়র ওয়াটার প্রাইজ–২০২০–এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় এ বছর বিজয়ী হয়েছে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র আদিত্য কুমার চৌধুরী ও ইফতেখার খালেদ। কোভিড–১৯–এর প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে অনলাইনে, ছোট পরিসরে। জুমের মাধ্যমে গত ১ মে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজক হাউস অব ভলান্টিয়ার্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এবং সহযোগী ওয়াটার এইড বাংলাদেশ।

২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশে স্টকহোম জুনিয়র ওয়াটার প্রাইজ শুরু হয়েছিল। এ বছর এই আয়োজন হলো ষষ্ঠবারের মতো। জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী দল সুইডেনে স্টকহোম জুনিয়র ওয়াটার প্রাইজ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিবছর আগস্ট মাসে বিশ্ব পানি সপ্তাহ উপলক্ষে এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ৩০টির বেশি দেশের ১৫-২০ বছর বয়সী তরুণেরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। মূলত তরুণদের পানি ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্ত হয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার অনুপ্রেরণা দিতেই এটি আয়োজন করা হয়। ২০১৭ সালে স্টকহোম জুনিয়র ওয়াটার প্রাইজের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্বীকৃতি—ডিপ্লোমা অব এক্সেলেন্সি অর্জন করেছিল বাংলাদেশ দল।

আদিত্য কুমার চৌধুরী ও ইফতেখার খালেদের প্রকল্পটির নাম ছিল, ‘পানি বিশুদ্ধকরণে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত পলি গ্লুটামিক অ্যাসিড ব্যবহার’। কীভাবে কম খরচে পানির ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া হ্রাস করা যায়, সেটিই দেখাতে চেষ্টা করেছে দুই বিজয়ী। বিভিন্ন স্কুলে প্রচারণা, মেন্টরিং সেশন, স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রাম আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে স্টকহোম জুনিয়র ওয়াটার প্রাইজের মূল কার্যক্রম শেষ হয়। এ বছর তিনটি মেন্টরিং সেশনের মধ্যে দুটি অফলাইনে এবং একটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। ৮টি দলে মোট ১৪ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজকেরা জানান, এ বছর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।