কুমিল্লা শিক্ষা বোের্ড পাসের হার কমেছে, বেড়েছে জিিপএ-৫

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে৷ তবে পাসের হার গতবারের চেয়ে দশমিক ৪৯ শতাংশ কমেছে। পাসের হার ও জিপিএ-৫-এ মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এগিয়ে।
এবার শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করা বিদ্যালয়ের সংখ্যা কমেছে। তবে কেউ পাস করেনি—এমন বিদ্যালয় এবার নেই। বোর্ডের সেরা ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১১টিই কুমিল্লা জেলার। টানা চতুর্থবারের মতো বোর্ডে প্রথম হয়েছে কুমিল্লা জিলা স্কুল।
গতকাল শনিবার প্রকাশিত ফলাফলের বিবরণী অনুযায়ী, এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত ছয় জেলার এক হাজার ৬২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ৪৫ হাজার ১৩ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৮৬৮ জন। এর মধ্যে ছেলে ৬০ হাজার ৬০০ জন, মেয়ে ৬৯ হাজার ২৬৮ জন। পাসের হার ৮৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৯২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, মেয়েদের পাসের হার ৮৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৯৪৫ জন। এর মধ্যে ছেলে পাঁচ হাজার ৬৮৬ জন, মেয়ে পাঁচ হাজার ২৫৯ জন।
এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে ২৯ হাজার ১৯৪ জন পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয় ২৭ হাজার ৬২৩ জন। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এতে ছেলেদের পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, মেয়েদের পাসের হার ৯৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পেয়েছে আট হাজার ২৯২ জন। এর মধ্যে ছেলে চার হাজার ৭১৮ জন, মেয়ে তিন হাজার ৫৭৪ জন।
মানবিক বিভাগে ৩৪ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয় ২৮ হাজার ১২০ জন। পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, মেয়েদের পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। মানবিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৫ জন ছেলে, ১৫৭ জন মেয়ে।
ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৮১ হাজার ৩৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয় ৭৪ হাজার ১২৫ জন। পাসের হার ৯১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৯২ দশমিক ২৫ শতাংশ, মেয়েদের পাসের হার ৯০ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৪৮১ জন। এর মধ্যে ৯৫৩ জন ছেলে, এক হাজার ৫২৮ জন মেয়ে।
বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সিহাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত বছর কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৪১ শতাংশ। এবার পাসের হার কমেছে দশমিক ৪৯ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে তিন হাজার ৯০ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল সাত হাজার ৮৫৫ জন।
কমেছে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: এবার ১৬৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা সবাই পাস করেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৭৫টি৷
শিক্ষাবিদ মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘জিপিএ-৫ বাড়া বড় কথা নয়, শিক্ষার মান বেড়েছে িক না, সেটাই প্রশ্ন। এই ফলে খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। পাঠশালায় মৌলিক শিক্ষা না পাওয়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের অনেকেই উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে হারিয়ে যায়।’