মাদক থেকে দূরে থাকতে হলে

দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং অফিস। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিরেক্টরেট অব স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অফিসের মাধ্যমে মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। এই কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. দেলওয়ার হোসেন বলেন, মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীরা কখনোই সত্য কথা বলে না। তাই মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীরা নিজে থেকে এসে পরামর্শ বা সেবা নিতে চায় না। অভিভাবক বা বন্ধুবান্ধবের সহায়তায় বুয়েটের যেসব শিক্ষার্থী এই অন্ধকার জগৎ থেকে চলে আসতে চায়, তাদের আমরা সর্বাত্মক সেবা ও সহযোগিতা করে থাকি। বন্ধুবান্ধবের সাহচর্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মো. দেলওয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুমহল প্রত্যেকের জীবনে বেশ বড় ভূমিকা রাখে। বন্ধুরাই পারে কাউকে আলো থেকে আঁধারে নিয়ে যেতে, আবার আঁধার থেকে আলোতে চলে আসতে। নাচ-গানের চর্চা, খেলাধুলা, সাইকেল চালানো, স্কাউটিং, বিভিন্ন ধরনের সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ, নতুন নতুন জায়গায় ভ্রমণ করলে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি হয় শিক্ষার্থীদের, যা তাদের মাদক থেকে দূরে রাখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজির প্রভাষক জিন্নাতুল বোরাক জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যেসব শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত কিংবা মানসিকভাবে হতাশ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগ ও হলে সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।

টিএসসি ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম ভবন ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ’ মানসিক সহায়তাদান কেন্দ্র শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন হলে রয়েছে ছাত্রীদের মানসিক সহায়তাদানের ব্যবস্থা। এসব হলে শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্তিসহ নানা মানসিক ও সামাজিক সমস্যার কাউন্সেলিং করেন মনোবিজ্ঞানের শিক্ষকেরা।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কাউন্সেলিং অফিস। এই অফিসের সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলর অ্যান্ড লেকচারার সালেহ সিদ্দিকি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীরা যেন মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে ক্যাম্পাস ও ক্লাসে সর্বোচ্চ নজর দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সেমিনার, ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।