শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, তাঁরা মনে করছেন আইইউবিসহ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি দেওয়ার এবং গবেষণা করার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। কাজেই এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে কথা বলবেন, যাতে যে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সক্ষমতা (পিএইচডি দেওয়ার সক্ষমতা) তৈরি হয়েছে এবং বিশেষ করে কারও যদি বিশেষ কোনো বিষয়ে সেই সক্ষমতা তৈরি হয়, তাহলে সেই বিষয়ে পিএইচডি দেওয়ার কাজটি শুরু করা উচিত। এ নিয়ে শিগগিরই ইউজিসির সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাঁরা এখন শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন বা সংস্কার নয়, একেবারে রূপান্তরের কথা বলছেন। দেশ ও বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত মান উন্নয়নের কাজ চলছে। তাঁরা চান দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষা বিশ্বমানে উন্নীত করতে। যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, গবেষণা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করা সম্ভব।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণত দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী চাকরির পেছনে ছোটেন। শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও আদর্শ সমাজ গঠনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। উদ্যোক্তা তৈরির পরিবেশ সৃষ্টিতে অভিভাবকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান, আইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, আইইউবির সহ–উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান, এডুকেশন সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সালমা করিম (তিনি ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন), কৃতী শিক্ষার্থী এ্যান্ড্রিয়ানা বাশার।
সমাবর্তনে ১ হাজার ৪৫৯ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪০ জন স্নাতক ও ৩১৯ জন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী।