আইইউবিএটির উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের বক্তব্য

চতুর্থ প্রজন্মের শিল্পবিপ্লবের জন্য শিক্ষার্থীদের তৈরি করতে চাই : অধ্যাপক ড. আবদুর রব

অধ্যাপক ড. আবদুর রব, উপাচার্য, আইইউবিএটি

পথচলার শুরু থেকেই আইইউবিএটি শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। শিক্ষার্থীদের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য আমরা সব সময় বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের সেরাটা দেওয়ার জন্য আমরা দেশ-বিদেশের সেরা শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করি। যাঁরা কেবল শ্রেণিকক্ষের বইয়ের জ্ঞান নয়, বরং বাস্তব জীবনেও অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করতে পারেন।

আগামীর দিনগুলোয় সারা বিশ্বের কর্মযজ্ঞে প্রয়োজন হবে প্রযুক্তির ছোঁয়া। চতুর্থ প্রজন্মের এই শিল্পবিপ্লবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, প্রোগ্রামিং, বিগ ডেটার ওপর যাঁদের দখল থাকবে, তাঁরাই কিন্তু সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন। আইইউবিএটি এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য শিক্ষার্থীদের তৈরি করতে চায়। এ জন্য নিয়মিত ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় নানা রকম কর্মশালা ও সেমিনার, যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তবে এসব বিষয়ে কাজ করছে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পান।

আমরা চাই, ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশসেরা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, সবটা মিলিয়ে তারা যা শিখেছে, তা যেন দেশের উপকারে আসে, এই আশাই ব্যক্ত করি আমি।

অধ্যাপক ড. আবদুর রব, উপাচার্য, আইইউবিএটি

আমরা চাই, আমাদের স্নাতকেরা কৃঞ্চচূড়া ফুলের মতো ছড়িয়ে পড়ুক : অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস

অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস, কোষাধ্যক্ষ, আইইউবিএটি

১৯৯১ সালের জানুয়ারি মাসে আইইউবিএটি যাত্রা শুরু করে। দেশে ১৯৯২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হলে ১৯৮৯ সালের আবেদনের ধারাবাহিকতায় নতুন করে আবেদন করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ড. এম আলিমউল্যা মিয়ানকে অনুরোধ করা হয়। ফলে আইইউবিএটির মাধ্যমে বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বেশ কয়েকটি ডিগ্রি প্রোগ্রামও দেশে আইইউবিএটি প্রথম চালু করে। ১৯৯৭ সালে আইইউবিএটি অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজের সদস্য হয়, যার মাধ্যমে কমনওয়েলথের সব দেশেই আইইউবিএটির ডিগ্রি স্বীকৃতি পায়। পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে ২০০৮ সালে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ হিসেবে ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস বলেন, ‘দেশের প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে আইইউবিএটি যাত্রা শুরু করেছিল, সেই প্রত্যয় অনেকটাই সফল হয়েছে। শুধু দেশের ভেতরই নয়; বরং আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে চাই আমরা।’ তিনি আরও বলেন, আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছে যেমন ফুল ফুটলে তা দূর থেকে দেখা যায়; তেমনি একটি গ্রামে একজন শিক্ষিত পেশাজীবী স্নাতক থাকলে তাঁর মাধ্যমে গোটা গ্রাম তথা সারা দেশ উপকৃত হয়।

অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস, কোষাধ্যক্ষ, আইইউবিএটি