জাহাজ ও সমুদ্র নিয়ে পড়ার সুযোগ কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে
বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজভাঙা শিল্পের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ‘শিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম সায়েন্স’ বিভাগ চালু করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (সিইউবি)। এই বিভাগে জাহাজ ও সমুদ্রসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়। বিভাগের প্রধান লক্ষ্য হলো বন্দর ব্যবস্থাপনা, শিপিং কোম্পানি পরিচালনা, শিপিং কমার্সসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এইচ এম জহিরুল হক বলেন, বন্দর, নৌপরিবহন, জাহাজ নির্মাণ, জাহাজভাঙা, মত্স্যসম্পদ, পর্যটনশিল্প, সমুদ্রের তলদেশের তেল ও গ্যাস—এসবই সুনীল অর্থনীতির অংশ। এসবের যথাযথ ব্যবহার করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখা সম্ভব। তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনক্রমে ২০১৭ সালে শিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম সায়েন্স বিভাগ চালু করে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
উচ্চমাধ্যমিক বা এ লেভেল পেরোনো শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে স্নাতকে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৫ এবং ইংরেজি মাধ্যমে ও লেভেল এবং এ লেভেলে এ গ্রেড পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আছে শতভাগ বৃত্তিসহ ভর্তির সুযোগ। এ ছাড়া প্রতি সেমিস্টারে ফলাফলের ভিত্তিতে শতভাগ পর্যন্ত বৃত্তি দেওয়া হয়।
বিভাগীয় প্রধান জাকির হোসাইন জানান, বর্তমানে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম সায়েন্স বিভাগে স্নাতক করছেন তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘দেশে ও দেশের বাইরে এই খাতে কাজের বিশেষ চাহিদা আছে। জাহাজভাঙা ও নির্মাণ থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। আমরা আশা করি, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সুনীল অর্থনীতিসংশ্লিষ্ট গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
সিইউবির শিক্ষার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার বন্ধের সময়েও অনলাইনে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। বিষয়টা একটু ভিন্নধর্মী হওয়ায় শুরুতে নানা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তে হয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে জানতে পেরেছি, সমুদ্রভিত্তিক সম্পদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা আছে। মেরিটাইম ও সমুদ্রবিজ্ঞানে পড়ে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে আমরা ভূমিকা রাখতে পারি।’
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ঢাকার প্রগতি সরণিতে অবস্থিত কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া আরও জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।