কোরবানির মাংস বিজ্ঞানসম্মতভাবে রান্না ও খেতে হবে
সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের অধিক লাল মাংস খাওয়া উচিত নয়। এর বেশি মাংস খাওয়া কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়াবে। খাবার পর অ্যান্টাসিড না খেয়ে দই খাওয়া উচিত।
কোরবানি ঈদের মাংস পরিমিতভাবে আহার, চর্বি ঝরিয়ে বিজ্ঞানসম্মতভাবে রান্না এবং ফ্রিজে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ না করে দুস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যসম্মত এবং মানবিক সমাজ গঠনের তাগিদ দিয়েছে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। গতকাল সোমবার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর আয়োজিত এক বিজ্ঞান বক্তৃতার মাধ্যমে এ আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও পুষ্টিবিজ্ঞানের গবেষণালব্ধ তথ্য অনুযায়ী সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের অধিক লাল মাংস খাওয়া উচিত নয়। এর বেশি মাংস খাওয়া কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়াবে। গরুর চর্বি নিরাপদভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে। এ চর্বি সাবান তৈরির উপাদান, খাদ্য উপাদান নয়। এ ছাড়া খাবার পর অ্যান্টাসিড না খেয়ে দই খাওয়া উচিত। দই অগ্ন্যাশয়ের কার্যক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। দই রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। উপরন্তু রান্নার সময় যে তেল গরম করা হয়, তা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি গরম করলে সে তেলের আণবিক গঠন ভেঙে বিপজ্জনক ট্রান্সফ্যাট তৈরি হয়। সুতরাং স্মোক পয়েন্টের মাত্রার চেয়ে তেল বেশি গরম করা যাবে না।
মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, প্লাস্টিক বা পলিথিনে মাংস সংরক্ষণ করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ না করে গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়াই কোরবানির ঈদের সার্থকতা। মানবমুক্তির দিশারি প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পরিমিত খাবারের উপদেশ দিয়েছিলেন। সেটি মেনে চললে শরীর রোগমুক্ত থাকবে।
স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও পুষ্টিবিজ্ঞানের গবেষণালব্ধ তথ্য অনুযায়ী সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের অধিক লাল মাংস খাওয়া উচিত নয়। এর বেশি মাংস খাওয়া কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়াবে।বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক অনামিকা বসু। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে গাজীপুর ও গোপালগঞ্জের তিনটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ বিজ্ঞান বক্তৃতায় জান্নাতুল ফেরদৌস রিদ্ধিতাকে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচন করা হয়।