ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে অব্যাহতি
অননুমোদিতভাবে বিদেশে অবস্থান করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষককে চাকরি থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিদেশে অবস্থান করা ওই দুই শিক্ষক নিজেরাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন।
গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের নিয়মিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে দুজন সিন্ডিকেট সদস্য প্রথম আলোকে জানান। ওই দুই শিক্ষক হলেন নুসরাত ফারহা ও মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। দুজনই অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশনস সিস্টেমস বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।
সিন্ডিকেটের গতকালের বৈঠকে এ ছাড়া অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশনস সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক অনুপ কুমার সাহাকে বিভাগে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়। কিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে এই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়।
ওই দুই সিন্ডিকেট সদস্য জানান, ২০১৭ সালে অনুপ কুমার সাহা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হন।
একই বছরের অক্টোবরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ পান। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার আবেদনে তিনি নিজেকে পিএইচডিধারী বলে পরিচয় দেন, যদিও তাঁর পিএইচডি সম্পন্ন হয়েছে আরও পরে। এ ছাড়া তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের অনুমতি পেলেও তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেননি। কারণ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর কাছে ৮ লাখ টাকা পাওনা ছিল। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ ডিসেম্বর তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় সিন্ডিকেট। পরে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর তাঁকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় দেন উচ্চ আদালত। এই রায়ের পর গতকালের সিন্ডিকেট সভায় অনুপকে চাকরিতে পুনর্বহালের পাশাপশি চাকরি থেকে অব্যাহতির পুরো বিষয়টির নেপথ্য কারণ অনুসন্ধান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
সিন্ডিকেটের গতকালের বৈঠকে এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহ করার ঘটনায় অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন জাহানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত রাখার আগের সিদ্ধান্তটি বহাল রাখা হয়। বলা হয়, শারমিনের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালত যে রায় দেবেন, সে অনুযায়ী শারমিনের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ তবে আপাতত তিনি বরখাস্তই থাকবেন।