পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

ইতিহাস বিকৃতি রোধে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র—সব পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। শিক্ষাসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্তিতে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ২ ডিসেম্বর ওই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উত্তম লাহিড়ী। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা, শাকিলা রওশন ও শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

রুলে ইতিহাস বিকৃতি রোধে ও পরবর্তী প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে সংবিধানের ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিলে থাকা স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র বাধ্যতামূলকভাবে সব পর্যায়, মাধ্যম ও স্তরের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাসচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১১ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী উত্তম লাহিড়ী।