বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত, ক্লাস অনলাইনে

ফাইল ছবি

দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯–সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য কিন্ডার গার্টেন, প্রাথমিক স্কুল ও মাধ্যমিক স্কুলের চলমান ছুটিও ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৪ মাস ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ আছে। ফলে, প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে ঘাটতি নিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছে। কতটুকু শিখল, সেটাও যাচাই করা যাচ্ছে না।

ছবি: সংগৃহীত

কয়েক দিন আগে একটি বেসরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসজনিত বন্ধে প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারার বা শিক্ষণঘাটতির ঝুঁকিতে আছে। এমন অবস্থায় শিক্ষার এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদেরা। তাঁদের অনেকে যেসব এলাকায় সংক্রমণ নেই বা কম, সেসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও সুপারিশ করেছেন।

অনলাইন ক্লাস প্রতীকী ছবি
ছবি: প্রথম আলো

জানা গেছে, এর আগে সরকার করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে ২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং ভারতীয় ধরন নিয়ে উদ্বেগ থাকায় চলমান বিধিনিষেধ বৃদ্ধির চিন্তাভাবনার পাশাপাশি স্কুল-কলেজ খোলাও পিছিয়ে গেল।

এর আগে এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধের পর ৩০ মার্চ দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সেটিও সম্ভব হয়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।