আধুনিক শিক্ষার প্রত্যয়

দক্ষিণ পূর্বাচলে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাসছবি: সংগৃহীত

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)। বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঢাকার ধানমন্ডিতে। শুরু থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল—শ্রেণিকক্ষে শুধু ভালো পাঠদান করলেই চলবে না; প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সুবিধা-অসুবিধা ও অন্যান্য বিষয়ের প্রতিও শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মনোযোগী ও যত্নবান হতে হবে।

শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান বিবেচনায় রেখে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ল্যাব, পাঠাগার, সেমিনারকক্ষ, মিলনায়তন ইত্যাদি গড়ে তোলা হয়েছে। দক্ষিণ পূর্বাচলে এসইউবির স্থায়ী ক্যাম্পাসে এসব সুযোগ-সুবিধা থাকবে আরও বর্ধিত পরিসরে। ১৬ তলাবিশিষ্ট হোস্টেল, খেলার মাঠ, জিমনেসিয়াম, আইসিটি ক্যাফে, স্বাস্থ্যসম্মত ক্যাফেটেরিয়া ও সুপরিসর একাডেমিক ভবন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সেখানে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।

কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় রেখে এসইউবিতে চলতি স্প্রিং ২০২১ সেমিস্টারে ভর্তি ফির ওপর ৫০ শতাংশ ও টিউশন ফির ওপর ২৫ শতাংশ ওয়েভার দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া এখানে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে ১০ থেকে শতভাগ পর্যন্ত বৃত্তি দেওয়া হয়। ভাই-বোন বা স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ, গ্রুপ বা করপোরেট প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫ শতাংশ, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ১০০ শতাংশ ওয়েভারের ব্যবস্থা আছে। তা ছাড়া এসইউবিতে প্রতি সেমিস্টারের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি বিভাগের সব ব্যাচের কৃতী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়।

এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী এখন এসইউবিতে পড়ছেন। চলতি স্প্রিং সেমিস্টারে এসইউবির তিনটি ক্যাম্পাসেই (৭৭ সাতমসজিদ রোড, ১৩৮ কলাবাগান ও দক্ষিণ পূর্বাচল) সরাসরি ভর্তি চলছে। এ ছাড়া অনলাইনেও যোগাযোগ করা যাবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শুক্রবার ও অন্যান্য ছুটির দিনেও অফিস খোলা থাকছে।

প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের কথা

শওকত আরা হায়দার

শওকত আরা হায়দার, এমবিবিএস, এমপিএইচ, পিএইচডি ফেলো

সভাপতি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন

স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রায় ১৫ হাজার অ্যালামনাই আছেন। অধিকাংশ প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী দেশে ও বিদেশে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। অনেকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন। প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন ‘স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (সুবা)’ ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ অবধি কৃতিত্বের সঙ্গে আমরা বহুমুখী কাজ করে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সুবার সদস্যদের যোগাযোগ খুবই আন্তরিক ও কার্যকর।

এস এম গালিব হাসান

এস এম গালিব হাসান

দশম ব্যাচ, আইন বিভাগ, এসইউবি

মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও আইনের প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকায় এমবিবিএস পড়া শেষ করতে পারিনি। আবার নতুন করে সাহস সঞ্চয় করে ভর্তি হই স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। এখানকার শিক্ষকদের সহায়তায় আমি স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। ১৩তম বিজেএস পরীক্ষায় আমি সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করতাম। স্বল্প খরচে গুণগত শিক্ষার মাধ্যমে স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতি বিনির্মাণে অংশ নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

চৌধুরী মাহরিন

চৌধুরী মাহরিন

শিক্ষার্থী, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কটা খুব সহজ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই কৃষ্টিগত একটি পরিবেশ পেয়ে এসেছি। রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী, পৌষসংক্রান্তি, শারদ উৎসব, পয়লা ফাল্গুন—খুব আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হয়। আরেকটি বিষয় হলো ‘এথিকস অ্যান্ড অ্যাস্থেটিকস’ ক্লাস। প্রথম সেমিস্টারে সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি সম্মিলিত ক্লাসের আয়োজন করে এসইউবি। সভ্যতা এবং কৃষ্টিসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য, পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি এই ক্লাসের পাঠ্যক্রম।

একনজরে

যেসব বিষয় পড়ানো হয়

স্নাতক পর্যায়ে স্থাপত্য, বিবিএ, ইংরেজি, আইন, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল, খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, সাংবাদিকতা, যোগাযোগ ও গণমাধ্যম এবং ফার্মাসি বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। এ ছাড়া স্নাতকোত্তরে পড়া যাবে এমবিএ, পরিবেশবিজ্ঞান, গণস্বাস্থ্য, ফার্মাসি এবং খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে।

ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়
আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ–২.৫০
থাকতে হবে। কোনো একটি পরীক্ষায় ২.৫০–এর কম পেলে দুটি পরীক্ষায় মোট ৬.০০ থাকতে হবে।

ওয়েবসাইট: sub.edu.bd

হটলাইন: ১৬৬৬৫