১০টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচাই করুন আপনার ‘কমিউনিকেশন স্কিল’

কর্মক্ষেত্রে ‘কমিউনিকেশন স্কিল’ খুব জরুরি
ছবি: প্রথম আলো

ঘুরেফিরে চাকরির বাজারে একটি কথা আজকাল প্রায়ই শোনা যায়—‘কমিউনিকেশন স্কিল’, অর্থাৎ যোগাযোগের দক্ষতা। অনলাইনে বা অফলাইনে কার্যকর যোগাযোগের পদ্ধতি আপনার জানতেই হবে। পেশাদার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনের এক জরিপে দেখা গেছে, সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন ‘সফট স্কিল’গুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে ‘যোগাযোগ দক্ষতা’। নিচের এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে জানতে পারবেন, আপনার ‘কমিউনিকেশন স্কিল’ কতটা ভালো।

১০টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচাই করুন যোগাযোগের দক্ষতা। একেকটি প্রশ্নে উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে ১ নম্বর পাবেন এবং ‘না’ হলে ০ (শূন্য) নম্বর পাবেন।

১. আপনি কি একজন ভালো শ্রোতা (যাঁর সঙ্গে কথা বলছেন, তাঁর কথা মন দিয়ে শোনেন কি না)?

২. আপনি কি যোগাযোগ করার সময় অপর পক্ষকে সহজেই বুঝিয়ে দিতে পারেন যে কোন উদেশ্যে আপনি যোগাযোগ করছেন?

৩. আপনি কি যোগাযোগ করার সময় অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সৌজন্যবোধ বজায় রেখে পেশাদার থাকেন?

৪. আপনি কি কথা বলার সময় আত্মবিশ্বাসী থাকেন?

৫. আপনি কি যোগাযোগের সময় প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত-পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন?

. আপনি কি প্রস্তুতি নিয়ে ও যথাযথ পূর্বপরিকল্পনা করে যোগাযোগ করেন?

৭. আপনি কি অপ্রয়োজনীয় কথা বাদ দিয়ে সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন?

৮. সামনাসামনি কথা বলার সময় আপনি কি মুখের ভাব, শরীরী ভাষা, গলার স্বর, ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন থাকেন?

৯. লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে আপনি কি বড় বড় অনুচ্ছেদ (প্যারাগ্রাফ) না লিখে ছোট ছোট অনুচ্ছেদ ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করেন?

১০. আপনি কি পেশাদার নেটওয়ার্ক বা অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কল করার আগে টেক্সট পাঠিয়ে অনুমতি নেন?

ওপরের ১০ নম্বরে আপনার প্রাপ্ত নম্বর ৯-১০ হলে আপনার যোগাযোগ দক্ষতা বেশ ভালো, ৬-৮ হলে যোগাযোগ দক্ষতা মোটামুটি। নম্বর ৬–এর কম হলে বুঝতে হবে, এই দক্ষতার উন্নয়নে আপনার সময় দেওয়া প্রয়োজন।

যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর উপায়

ভালো শ্রোতা হওয়া

যোগাযোগ দক্ষতায় ভালো হতে হলে প্রথমেই আপনাকে একজন ভালো শ্রোতা হতে হবে। অনেকেই আছেন, যাঁরা কথা বলার সময় অপর প্রান্তের মানুষটির কথা শুনতে চান না। শুধু নিজেই বলে যান। এতে অপর পক্ষের মতামত বা তথ্যগুলো জানায় ঘাটতি থেকে যায়। ফলে, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিমত ও অস্পষ্টতা তৈরি হয়।

আত্মবিশ্বাসী হওয়া

আপনি যে বিষয়ে বলছেন, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে, সব তথ্য-উপাত্ত-পরিসংখ্যান জোগাড় করে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করুন।

অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া

যাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, আপনাকে অবশ্যই তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তাঁর কোনো কথা বা মতের সঙ্গে আপনি একমত না-ও হতে পারেন, কিন্তু অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।

যদি মনে করেন আপনার মতামতটি সঠিক, সে ক্ষেত্রে যুক্তি ও তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে বুঝিয়ে বলুন।

মুক্তমনা হওয়া

মনের জানালা সব সময় খোলা রাখুন। আপনার সঙ্গে কেউ মনের কথা ভাগাভাগি করতে যেন ইতস্তত বোধ না করে। আপনার থেকে বয়সে ছোট, পদে ছোট বা যোগ্যতায় ছোট—এমন লোকজনও যেন আপনার সঙ্গে নির্দ্বিধায় সব কথা বলতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে বা পরিবারে যখন মুক্তমনা হবেন এবং সবার কথা শুনবেন, তখন সেখান থেকে নতুন অনেক আইডিয়া পাবেন, অনেক ভুল–বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে এবং সম্পর্কগুলো ভালো হবে।