অ্যান্ড্রয়েডে সুবিধাটি চালু থাকলে মেসেজে কেউ আর নজর রাখতে পারবে না

অ্যান্ড্রয়েডের এসএমএস পাঠানোর অ্যাপ মেসেজেসের চ্যাট করার সুবিধায় চালু হলো এনক্রিপশন সুবিধাগুগল

অ্যান্ড্রয়েডের বার্তা পাঠানোর অ্যাপে এনক্রিপশন সুবিধা যুক্ত করার ঘোষণা গত বছরেই দিয়েছিল গুগল। পর্যায়ক্রমে ব্যবহারকারীদের কাছে পরীক্ষামূলক সংস্করণ পৌঁছালেও এবার পূর্ণ সংস্করণ ছাড়া হলো। অর্থাৎ, অ্যান্ড্রয়েড মেসেজেস অ্যাপেও হোয়াটসঅ্যাপের মতো এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুবিধা এল।

অ্যান্ড্রয়েডের এসএমএস পাঠানোর ডিফল্ট অ্যাপটিই এই মেসেজেস। অ্যাপের নতুন প্রযুক্তিটি যদি দাবি অনুযায়ী কাজ করে, তবে প্রেরক আর প্রাপক ছাড়া বার্তায় আর কেউ নজরদারি করতে পারবেন না। আর সে কারণেই মেসেজেস অ্যাপ নিয়মিত ব্যবহার করলে সুবিধাটি চালু রাখা ভালো।

সুবিধাটির ব্যাপারে গুগল জানিয়েছে, ‘যখন আপনি মেসেজেস অ্যাপ ব্যবহার করে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড বার্তা পাঠাবেন, সেখানে লেখা ও মিডিয়া ফাইল এনক্রিপটেড ডেটা হিসেবে এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে যাবে। এনক্রিপশন প্রযুক্তিতে ডেটা বিক্ষিপ্ত লেখায় পরিণত হয়, যা পড়া সম্ভব না। সে লেখা কেবল গোপন কোডের সাহায্যে পুনরায় পঠনযোগ্য করা সম্ভব।’

গুগল

এই গোপন কোড বার্তা প্রেরক ও প্রাপকের ডিভাইসের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৃষ্টি হয়। একবার কাজ হয়ে গেলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছেও যায়। এতে বার্তায় তৃতীয় কারও নজরদারির সুযোগ থাকে না। সেটা অবশ্য প্রযুক্তির দিক থেকে। গণপরিবহনে পাশ থেকে কেউ উঁকি দিয়ে দেখলে অবশ্য ভিন্ন কথা।

অ্যান্ড্রয়েড মেসেজেসের এনক্রিপশন আপাতত কেবল দুজন ব্যবহারকারীর মধ্যে বার্তা আদান–প্রদানের বেলায় চালু করা যাবে। গ্রুপ চ্যাটে যাবে না। আর তাই গ্রুপ চ্যাটে খুব গোপন কিছু না পাঠানোই ভালো।

যেভাবে এনক্রিপশন চালু করবেন

এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন চালু করতে হলে প্রেরক আর প্রাপক দুজনকেই মেসেজেস অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। তা তো পরিষ্কার। সে সঙ্গে মেসেজেস অ্যাপে চ্যাট করার সুবিধা চালু রাখতে হবে। এতে এসএমএস বা এমএমএস ছাড়াও ওয়াই-ফাই বা মোবাইল ডেটা ব্যবহার করে বার্তা পাঠানো যায়। আর সেটিই এনক্রিপশন চালুর পূর্বশর্ত।

চ্যাট সুবিধা চালু আছে কি নেই, তা বোঝা যায় লেখার রং দেখে। হালকা নীলের বদলে গাড় নীল হলে বুঝতে হবে চ্যাট সুবিধা চালু আছে। চাইলে মেসেজেস অ্যাপের ‘সেটিংস’ থেকে ‘চ্যাট ফিচার্স’ অপশনে গিয়ে ‘এনাবল চ্যাট ফিচার্স’ নির্বাচন করে তা সচল করে দিন।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন চালু হয়ে যাবে নিজে থেকেই। তবু পরীক্ষা করার জন্য কোনো কিছু লিখে পাঠানোর আগে ‘সেন্ড’ বোতাম হিসেবে পরিচিত ছোট কাগজের বিমানের আইকনের সঙ্গে নতুন করে তালার সংকেত যুক্ত হয়েছে কি না, দেখে নিন। আবার বার্তার সময় এবং যাঁকে পাঠাচ্ছেন, তাঁর নামের পাশেও তালার আইকন দেখলে বুঝবেন বার্তা এখন নিরাপদ।

চ্যাট সুবিধা বন্ধ করে দিলে পাঠানো বার্তা আর এনক্রিপটেড থাকবে না।

সূত্র: ম্যাশেবল