বাংলাদেশ পর্বে নির্বাচিত ১০ আলোকচিত্র

আলোকচিত্রের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ঐতিহ্যকে তুলের ধরার চেষ্টা থেকেই প্রতিবছর আয়োজিত হয় ‘উইকি লাভস আর্থ’। এটি উইকিপিডিয়ার আন্তর্জাতিক ছবি প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দেশে আলাদাভাবে বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাংলাদেশ পর্বে ১০টি আলোকচিত্র নির্বাচন করা হয়েছে। এই আলোকচিত্রগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।

উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের ছবিগুলো নির্বাচনে বিচারক হিসেবে ছিলেন নেদারল্যান্ডসের বিচারক অ্যাগনাস মঙ্কেবান এবং যুক্তরাজ্যের সিমাও। দেশের ৩০৪ জন অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি মোট ১ হাজার ৮৯৪টি ছবি জমা দিয়েছিলেন। বিচারকেরা তিনটি ধাপে ছবিগুলো পর্যালোচনা করে সেরা ১০টি ছবি নির্বাচন করেন।

আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ছাড়াও ৩৩টি দেশ অংশ নিয়েছিল। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ নির্বাচিত ছবিগুলো আন্তর্জাতিক বিচারক বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেসব পর্যালোচনা করে আন্তর্জাতিকভাবে ১৫টি আলোকচিত্রকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

এক নজরে দেখে নিন বাংলাদেশ পর্বের সেরা ১০ আলোকচিত্র

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে কাঠ শালিকের ছবিটি তুলেছেন তৌহিদ পারভেজ।
প্রজাপ্রতির নাম ‘জুয়েল নবাব’। এ ছবিটিও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের। ছবি তুলেছেন সাইফুল ইসলাম।
শীতের সকাল। নোয়াখালীর হাতিয়ায় অবস্থিত নিঝুম দ্বীপ থেকে ছবিটি তুলেছেন সুলতান আহমেদ নিলয়।
তৌহিদ পারভেজের ক্যামেরায় কাঠ শালিকের খুনসুটি।
নীল টুনিকে অনেকে দুর্গা টুনটুনি বা মধুচুষকি নামেও চেনেন। মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে ছবিটি তুলেছেন পুলক চন্দ্র শীল।
পাখিটির নাম আমুর শাহিন। লালপা তুরমুতি নামেও পরিচিত। বরগুনার টেংরাগিরি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য থেকে ছবিটি তুলেছেন তৌহিদ পারভেজ।
ঢাকার জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান থেকে মাছরাঙার মাছ শিকারের দৃশ্যটি ধারণ করেছেন দিপু দত্ত।
আলোকচিত্রী নেওয়াজ শরীফের ক্যামেরায় সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত রাতারগুল জলাবন।
সাপের শিকার ফড়িং। মুঠোফোনে দৃশ্যটি ধারণ করেছেন মেহেদী হাসান।
সারি ধরে জেলেদের মাছ শিকারের ছবিটি আশরাফুল ইসলামের ক্যামেরায় ধরা পড়ে।