অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

করোনা মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বিশ্বখ্যাত ‘কোরসেরা ট্রেনিং প্ল্যাটফর্ম’ এ চার হাজার কোর্সে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৫ হাজার দক্ষ মানুষ তৈরি করবে। এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স গ্রুপের ৫০০ জন নারী উদ্যোক্তাকে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে একেবারেই বিনা মূল্যে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের স্পনসর ও এলআইসিটি প্রকল্প সমন্বয়কের কাজ করছে। কোরসেরা এ চার হাজার প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে লিংকে ক্লিক করে নিবন্ধন করতে হবে

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ বুধবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এলআইসিটি প্রকল্প আয়োজিত ‘আইসিটি শিল্পের জন্য কোভিড-১৯ পরবর্তী দক্ষতা’ শীর্ষক এক সেমিনার চলাকালে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে পরিবর্তন ঘটছে দ্রুত গতিতে। এ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলার জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চতুর্থ বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ফ্রন্টিয়ার (অত্যাধুনিক) টেকনোলজিতে দক্ষ মানুষ তৈরি করছে। শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফর ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করছে। এ প্রতিষ্ঠানের কাজই হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ মানুষ তৈরি করা। তিনি দেশের আইটি পেশাজীবী ও শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের কোরসেরা প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসহ অন্যান্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানান।

এলআইসিটি পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহমেদ এর সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, কোরসেরার জ্যাক ওডনোহ, এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বোক্কা সভাপতি ওহাহিদুর রহমান শরীফ, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের সভাপতি নাসিমা আকতার নিশা ।

বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, ‘বিশ্ববাজারে আমরা ৩০-৪০ বছর থেকে ব্র্যান্ডিং করে আসছি আমরা সস্তা শ্রমের দেশ। আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিং পরিবর্তন করে পরিচিত করতে হবে বাংলাদেশ দক্ষ জনশক্তির দেশ।’

অনুষ্ঠানে একুশ শতকের দক্ষতার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অগমেডিকস এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাশেদ মুজিব নোমান।

উইয়ের প্রেসিডেন্ট নাসিমা আকতার নিশা বলেন, মাত্র ৮ দিনে উইয়ের সদস্য সংখ্যা ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ৫০০ জনের অ্যাক্টিভিটি দেখে নির্বাচন করা হয়েছে যারা ডেডিকেটলি ট্রেনিংটা করতে পারবে।