অনাহূত ড্রোন এলে লেজার দিয়ে ফেলে দেবে ইসরায়েল

অনাহূত ড্রোন ধ্বংসে নতুন লেজার অস্ত্র তৈরি করছে ইসরায়েল। ছবিটি প্রতীকীপিক্সাবে

ড্রোন এবং অন্যান্য উড়ন্ত লক্ষ্যে আঘাত হানতে লেজার অস্ত্র তৈরি করছে ইসরায়েল। প্রকল্পটিতে কাজ করতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এলবিট সিস্টেমস লিমিটেড চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলে সোমবার জানানো হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে সেটি ব্যবহারের উপযোগী হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেজার অস্ত্রটির নাম এখনো ঠিক করা হয়নি। তবে ইসরায়েলের বহুস্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় সেটি যুক্ত হতে পারে। এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় স্বল্প দূরত্বের রকেট হামলা ঠেকিয়ে দেওয়ার আয়রন ডোম এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা ঠেকানোর ডেভিডস স্লিং ও অ্যারো সিস্টেমসও আছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়ানিভ রটেম সংবাদকর্মীদের বলেন, লেজার অস্ত্রের প্রাথমিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে একাধিক ড্রোন সফলভাবে ফেলে দিয়েছে সেটি। হালকা উড়োযানে লেজার অস্ত্রটি যুক্ত থাকবে বলেও জানান তিনি। সঙ্গে যোগ করেন, ‘যতটা জানতে পেরেছি, তাতে আমরাই প্রথম। অন্তত এমন পরীক্ষা চালিয়ে সফল হওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে যে আমরা আছি, তা নিশ্চিত।’

সি-মিউজিক নামের উড়োযানে যুক্ত করার আরেকটি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তৈরি করে এলবিট। এটি লেজার রশ্মি ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্র ‘দিকভ্রষ্ট’ করে দিতে পারে। এলবিটের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অরেন সাবাগ বলেন, নতুন লেজার অস্ত্রটিতে সি-মিউজিকের মতোই ট্র্যাক করার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। তবে সেটি উত্তপ্ত করে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করবে, যেন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তাতে আগুন ধরে যায়।

রটেম বলেছেন, ২০ কিলোমিটার রেঞ্জের ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতার পরীক্ষামূলক একটি সংস্করণ তিন থেকে চার বছরের মধ্যে দেখা যাবে। তাঁর কথা থেকে ধরে নেওয়া যায়, পূর্ণ সংস্করণ আরও দেরিতে হাতে পাবে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, এলবিট এবং রাষ্ট্রমালিকানাধীন রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস লিমিটেড মিলে লেজার-নির্ভর আরেকটি অস্ত্র তৈরি করছে, যেটি মাটি থেকে উড়োযান ফেলে দিতে ব্যবহার করা যাবে। ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার রেঞ্জের অস্ত্রটি ২০২৫ সালের মধ্যে প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।

সেটির তুলনায় নতুন অস্ত্রটি অন্তত একটি দিক থেকে এগিয়ে থাকবে। কারণ, নতুন লেজার অস্ত্রটি মেঘের ওপরেও পরিচালনা করা যাবে। অর্থাৎ, আবহাওয়া খারাপ থাকলেও লক্ষ্যে আঘাত হানতে কোনো সমস্যা হবে না।