অপো রেনো ৫

এআই মিক্সড পোর্ট্রেট সুবিধায় তরুণদের স্মার্টফোন অভিজ্ঞতাকে অনন্য করবে

স্মার্টফোন বর্তমান তরুণ সমাজের লাইফস্টাইলের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। কথা বলা থেকে শুরু করে অনলাইন গেমিং, অনলাইন ক্লাস, মিটিং, আড্ডা, প্রিয় টিভি সিরিজ দেখা সবকিছুর সঙ্গী এখন স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের আরেকটি বড় ব্যবহার এখন ফটোগ্রাফিতে। প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠায় স্মার্টফোনের ক্যামেরার গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। চমৎকার সব ইফেক্টে নান্দনিক সব ছবি তোলার পাশাপাশি ট্রাভেল ব্লগিং, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারের জন্যে ফন্ট ক্যামেরায় ক্রিস্টাল-ক্লিয়ার ভিডিওর গুরুত্ব বেড়েছে অনেক। আর এই সব বিভাগেই মুনশিয়ানা দেখাচ্ছে অপোর রেনো সিরিজের ফোনগুলো। এরই ধারাবাহিকতায়, ‘পিকচার লাইফ টুগেদার’ প্রতিপাদ্যে, ৬৪ মেগাপিক্সেল এআই মিক্সড পোর্ট্রেটের সুবিধা নিয়ে অপো এবার নিয়ে এসেছে রেনো ৫।

সম্প্রতি বাজারে আসা রেনো সিরিজের সর্বশেষ সংযোজন রেনো ৫-এর ৬৪ মেগাপিক্সেলের রিয়ার কোয়াডক্যাম ম্যাট্রিক্সে অপো নিয়ে এসেছে চমৎকার কিছু ফিচার। ফোনটির উল্লেখযোগ্য দুটি ফিচার হলো ডাবল এক্সপোজার ও ডুয়াল ভিউ ভিডিও মোড। এআই মিক্সড পোর্ট্রেট ক্যামেরার সুবাদে ডাবল এক্সপোজারের মাধ্যমে নান্দনিক কৌশলে দুটি ভিন্ন ভিডিও ধারণ করে একটির ওপর আরেকটি খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করা যাবে। এতে একটি ভিডিও অপরটির ওপর মিশে গিয়ে নান্দনিক ও সৃজনশীল ভিডিও উপহার দেবে।

ডুয়াল ভিউ ভিডিও মোডে একই সঙ্গে রিয়ার ক্যামেরা ও ফ্রন্ট ক্যামেরায় ভিডিও করা যাবে। এতে একই সময়ে ফোনের দুই পাশে কী হচ্ছে, তা একই সঙ্গে একটি ভিডিওতে রেকর্ড হবে। ৪৪ মেগাপিক্সেলের ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ফ্রন্ট ক্যামেরায় ছবি কিংবা ভিডিও ধারণে মিলবে অসাধারণ ডিটেইলস। শুধু তাই নয়, এতে আরও আছে ফুল ডাইমেনশন ফিউশন (এফডিএফ) পোর্ট্রেট ভিডিও সিস্টেম এবং এআই হাইলাইট ভিডিও, যেগুলোর সমন্বয় পোর্ট্রেট ভিডিও ধারণের অভিজ্ঞতায় আনবে নতুন মোড়। এআই হাইলাইট ভিডিওতে ক্যামেরা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের মাধ্যমে আশপাশের আলোর অবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বুঝে নিয়ে অন্ধকারেও আলোকিত ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারে।

লাইভ এইচডিআরে প্রচণ্ড সূর্যলোকের ভেতরও সুন্দর ভিডিও করা যাবে। এআই কালার পোর্ট্রেটের অনন্য ইফেক্টে শুধু ফোকাসে থাকা ব্যক্তি ছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ডের বাকি সব সাদাকালো করে ভিডিও করা যায়। তা ছাড়া, ফোনেই থাকা ‘সোলুপ’ অ্যাপে সঙ্গে সঙ্গে এডিটিং করে প্রস্তুত হয়ে যাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার ভিডিও। পেছনের ক্যামেরা আইল্যান্ডে আরও আছে ৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রাওয়াইড লেন্স, ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেলের মনোক্রোমাটিক লেন্স এবং প্রতিটি লেন্সই স্বতন্ত্রভাবে চমৎকার সব ছবি তুলতে পারদর্শী। ৬.৪ ইঞ্চির ৯১.৭ শতাংশ অ্যাস্পেক্ট রেশিওর ২৪০০*১০৮০ এফএইচডি ওলেড ডিসপ্লেতে আছে ৯০ হার্টজের রিফ্রেশ রেট ও ১৮০ হার্টজের স্যাম্পলিং রেট। ফলে মুভি দেখা কিংবা অনলাইন গেমিংয়ে মিলবে চমৎকার বিনোদন। এ ছাড়া কাজ এবং বিনোদনে গতিময় অভিজ্ঞতার জন্যে রেনো ৫-এ ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগনের ৭২০ জি অক্টাকোর প্রসেসর, যা সর্বোচ্চ ২.৩ গিগাহার্টজ গতিতে কাজ করতে সক্ষম। অলরাউন্ড হাইপারফর্মিং অপটিমাইজেশনের জন্য আছে অ্যাড্রিনো ৬১৮ জিপিইউ এবং ৮ গিগাবাইট এলপডিডিআর এক্স র‌্যাম।

১২৮ গিগাবাইটের ইন্টারনাল স্টোরেজের সঙ্গে এক্সটারনাল মেমরি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় স্টোরেজ নিয়ে ভাবতে হবে না। অ্যান্ড্রয়েড ১১–এর ওপর নির্ভর করে ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অপোর নিজস্ব কালারওএস ১১.১। স্মার্টফোনটি দীর্ঘক্ষণ বহারের জন্যে এতে আছে ৪,৩১০ মিলি–অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যা ৫০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জের ব্যবহারে মাত্র ৪৮ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া যাবে।

মনকাড়া নতুন ডিজাইন নিয়ে আসতে অপো কখনোই কার্পণ্য করে না। রেনো ৫-এ তারা এবার নিয়ে এসেছে এভারচেঞ্জিং কালার ইফেক্ট। এ জন্য ব্র্যান্ডটি স্মার্টফোন শিল্পে প্রথমবারের মতো ডায়মন্ড স্পেকট্রাম প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন করেছে, যা তিনটি ভিন্ন স্তরে গঠিত। এ তিনটি হলো পিকাসাস ফিল্ম, যা একাধিক ন্যানো-স্তর অপটিক্যাল রিফ্লেকটিভ ফিল্মের সমন্বয়ে তৈরি একটি প্রতিফলক; একাধিক কোণ থেকে আলো প্রতিফলন করে রঙের ছটা তৈরি করতে একটি ফ্রেসনেল লেন্স টেক্সচার এবং রিফ্লেকটিভ ইন্ডিয়াম কোটিং, যা ফোনে একটি প্রিমিয়াম ফিল প্রদান করে এবং অনন্য ম্যাট ফিনিশের ফলে চমৎকারভাবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রেসিস্ট্যান্ট। তা ছাড়া, ফ্যান্টাসি সিলভার অ্যাডিশনে থাকছে রেনোর গ্লো ইফেক্ট।

ফ্যান্টাসি সিলভার ভ্যারিয়েন্টটি মাত্র ৭.৮ মিলিমিটার পাতলা ও ওজনে মাত্র ১৭১ গ্রাম। চোখধাঁধানো ডিজাইনের ফোনটি শুধু নজরই কাড়বে না বরং হয়ে উঠবে তরুণদের ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। মিল্কিওয়ের তারার মতো উজ্জ্বল ফ্যান্টাসি সিলভার আর কসমিক ব্ল্যাকের মতো অবিশ্বাস্য দুটি রঙে রেনো ৫ এখন বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারে মাত্র ৩৫,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।