অফিসে ফিরছে ফেসবুক, উবার, মাইক্রোসফট

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অফিসগুলো খুলে দিচ্ছে ফেসবুক
রয়টার্স

করোনা মহামারির প্রভাবে বছরখানেকের বেশি ঘর থেকে কাজ করার পর আগামী মে মাস থেকে অফিসে কর্মীদের ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে ফেসবুক। মহামারির প্রায় শুরুর দিকে ঘরে থেকে কাজের পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। সে সময় বলেছিলেন, ফেসবুকের প্রায় অর্ধেক কর্মী আগামী ৫–১০ বছর এভাবেই ঘর থেকে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে সীমিত পরিসরে হলেও কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানটি।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অফিসগুলো খুলে দিচ্ছে ফেসবুক। তবে শুরুতে কর্মীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ রাখা হবে। আর আগামী সেপ্টেম্বরের আগে ৫০ শতাংশ কর্মীদের অফিসে ফেরার কথা বলা হবে না। সেখানেও মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব মেনে এবং প্রতি সপ্তাহে করোনা পরীক্ষা করে তবেই অফিসে যেতে পারবেন কর্মীরা।

অফিসে কর্মীদের পরিমাণ আপাতত ২০ শতাংশের বেশি রাখবে না উবার
রয়টার্স

উবার আরও দ্রুত অফিসে কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে চায়। ২৯ মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর কার্যালয় খোলার কথা বলছে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানটি। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অফিসে কর্মীদের পরিমাণ আপাতত ২০ শতাংশের বেশি রাখা হচ্ছে না। ফেসবুকের মতোই করোনাবিষয়ক স্বাস্থ্যবিধি মানায় জোর দেবে উবার। আর কোনো কর্মীর পরিবারের সদস্য অসুস্থ হলে তাঁকে ঘরে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হবে। নতুন এই পরিকল্পনা ঘোষণার আগে উবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির আগে অফিস খুলবে না তারা।

আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠান টুইটার তাদের কর্মীদের যত দিন ইচ্ছা ঘরে থেকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে তারাও ক্রমে অফিস খোলার কথা ভাবছে। উবারের মতো একসঙ্গে ২০ শতাংশের বেশি কর্মী অফিসে রাখার পক্ষপাতী নয় তারা।

গুগল মিশ্র পদ্ধতিতে কাজ চালানোর কথা ভাবছে
রয়টার্স

গুগল ও মাইক্রোসফট মিশ্র পদ্ধতিতে কাজ চালানোর কথা ভাবছে। যুক্তরাষ্ট্রের রেডমন্ডের মাইক্রোসফট কার্যালয় খোলা হবে ২৯ মার্চ। কর্মীরা কখনো অফিসে এসে, আবার কখনো ঘর থেকে কাজ চালিয়ে যাবেন। গুগল তাদের পরিকল্পনা পরিষ্কার না করলেও এর আগে জানিয়েছিল, আগামী সেপ্টেম্বরের পর সপ্তাহে তিন কর্মদিবস অফিসে এসে কাজ করার কথা ভেবে দেখবে তারা।

অ্যাপলও কিছু কর্মীকে অফিসে এসে কাজ করার কথা বলেছে। তবে বেশির ভাগ কর্মী ঘরে থেকে কাজ চালিয়ে যাবেন।

টিকা দিলেই যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে না, এমন নিশ্চয়তা নেই। তা ছাড়া বদ্ধ পরিসরে কাজ করার ঝুঁকিও আছে। তবু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে আনার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে। আবার ঘরে বসে কাজ করার ব্যাপারটাও শিগগিরই বিদায় নিচ্ছে বলে মনে করেন না সংশ্লিষ্টরা।