অ্যাপল সিইওর বেতন কোটি ডলার ছাড়াল

অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক

করোনা মহামারির কারণে অ্যাপলের বৈশ্বিক খুচরা বিক্রয় কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গেল বছর কয়েক মাস বিশ্বজুড়ে নিজেদের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রগুলো বন্ধও রেখেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তারপরও গত অর্থবছর (২০১৯-২০) অভ্যন্তরীণ আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হয়েছে অ্যাপল। আর তাই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুকের নগদ বোনাস ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে ১ কোটি ৭ লাখ ডলারে পৌঁছেছে তাঁর বেতন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেয়ার বাদে গত বছর টিম কুক মোট ১ কোটি ৪৮ লাখ ডলার বেতন পেয়েছেন। এর মধ্যে নগদ ক্যাশ বোনাস এবং ৩০ লাখ ডলার বেতন।

ইউএস সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) জমা দেওয়া অ্যাপলের বার্ষিক নথিতে বলা হয়, মনোনীত কর্মকর্তাদের জন্য আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণের প্রতিশ্রুত বোনাসের ১৭৯ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে।

২০১৯ সালে টিম কুকের বোনাস প্রথমবার ৩৬ শতাংশ কমেছিল। তখন কুকের মোট বেতনও কমেছিল। ওই সময় আইফোনের বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে অ্যাপলের রাজস্ব ও মুনাফা কমেছিল। সে সময় বোনাস ও বেতন দুটোই কমেছিল টিম কুকের। আর গত বছর অ্যাপলের শেয়ার দর বেড়েছে ৮০ শতাংশের বেশি। এর ফলে অ্যাপলের বাজারমূল্য দুই ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে, যা সিইওসহ অ্যাপলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নগদ ক্যাশ বোনাস বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। গত বছর আগস্টে বিশ্বের শত কোটিপতির তালিকায় নাম উঠেছে অ্যাপল সিইও টিম কুকের। এর পেছনে অ্যাপলের বাজারমূল্য বৃদ্ধি ভূমিকা রেখেছে।

গত আগস্টের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬০ বছর বয়সী টিম কুকের কাছে অ্যাপলের সরাসরি ৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৯টি শেয়ার রয়েছে।

নয় বছর আগে অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটির সিইওর দায়িত্ব পান টিম কুক। ১৯৯৮ সালে অ্যাপলে যোগ দেন টিম কুক।

করোনার কারণে ইন্টারনেটের প্রয়োজন বেড়েছে মানুষের। অনলাইনে হচ্ছে পাঠ্যদান, অফিস, সেমিনার মিটিং। ব্যাপক এ চাহিদায় পোয়াবারো টেক কোম্পানিগুলোর। অ্যাপল, ফেসবুক আমাজনের প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা বাড়ছে ব্যাপক হারে।