ইনফ্লুয়েন্সার ঠেকাবে ইনস্টাগ্রাম

ইনস্টাগ্রাম লোগো
ছবি : রয়টার্স

ইনস্টাগ্রামে অনেকেই অনেক বেশি অনুসারী জোগাড় করে প্রভাবশালী বা ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপর তাঁর পরিচিতি ও প্রভাব খাটিয়ে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচার চালান। এর বিনিময়ে তিনি পারিশ্রমিক নেন। ফটো শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে এ ধরনের ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারের জন্য যেসব ইনফ্লুয়েন্সার কাজ করছেন, তাঁদের ঠেকাতে সম্মত হয়েছে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে ইনফ্লুয়েন্সার ব্যবহার করে লুকানো বিজ্ঞাপন পদ্ধতি বন্ধ করে দেবে ইনস্টাগ্রাম। ব্রিটেনের কমপিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথোরিটি (সিএমএ) গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।

হাজার হাজার অনুসারীর ইনফ্লুয়েন্সাররা ইনস্টাগ্রামে কোনো পণ্য প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রচুর পরিমাণে ফি নেন। বড় বড় সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মে এটি বড় ধরনের আচরণগত পরিবর্তন।

সিএমএর এক বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো বিজ্ঞাপনে লেবেল না লাগিয়ে দিলে কোনো ব্যক্তির জন্য ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। কোনটা বিজ্ঞাপন মানুষ তা বুঝতে পারবে না।
ফেসবুকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইনস্টাগ্রাম। ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা সিএমএর সঙ্গে কাজ কাজ করবে এবং কোম্পানি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। কোন মানুষ ফেসবুকে অর্থ দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে তা নির্ধারণ করবে।

ফেসবুক জানিয়েছে, তারা মিডিয়াস্মার্ট নামে একটি কর্মসূচি চালু করছে, যাতে ব্র্যান্ডের কনটেন্ট শনাক্ত করতে মানুষকে শিক্ষা দেবে।

সিএমএ বলছে, অনেক ইনফ্লুয়েন্সার ব্র্যান্ড–সম্পর্কিত পোস্ট করছে। কিন্তু এর বিনিময়ে তারা কী পরিমাণ অর্থ নিচ্ছে, তা প্রকাশ করছে না। এ উদ্বেগ থেকে তারা বিষয়টি তদন্ত করেছে।

ইনফ্লুয়েন্সাররা কোনো পণ্য বা সেবার বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা নিলে তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো পোস্ট বিজ্ঞাপন কি না, তা নিশ্চিত করবে।
গত বছরে সিএমএর পদক্ষেপের পর ১৬ তারকা তাদের সামাজিক যোগাযোগের সাইট পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।