ইলন মাস্কের নভোযানে আগুন ধরেছিল কেন

অবতরণের পর আগুন ধরে যায় স্টারশিপে

অবতরণ সফল হলেও খানিক বাদেই আগুন ধরে যায় স্পেসএক্সের তৈরি নভোযান স্টারশিপে। সেটি ৩ মার্চের ঘটনা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক টুইটারে এক অনুসারীর প্রশ্নের উত্তরে আজ বুধবার জানালেন সে অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ।

মঙ্গলে বসতি গড়ার পরিকল্পনা থেকেই স্টারশিপ নিয়ে কাজ শুরু করেন ইলন মাস্ক। প্রকল্পটি সফল হলে একসঙ্গে অনেক মানুষ এবং মালামাল বহন করা সম্ভব হবে এতে। নিয়মিত পরীক্ষাও চালানো হচ্ছে নভোযানটি নিয়ে। ৩ মার্চের উড্ডয়নে ব্যবহার করা হয়েছিল স্টারশিপের ‘এসএন১০’ মডেলের প্রোটোটাইপ। উড্ডয়নের পর সফলভাবেই সেটিকে লঞ্চপ্যাডে ফিরিয়ে আনা হয়, অবতরণও ছিল ভালো। তবে মিনিটখানেক পর গোড়ার চারদিক থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিস্ফোরণ।

কারণ হিসেবে ইলন মাস্ক লিখেছেন, স্টারশিপের ইঞ্জিনে থ্রাস্টের কমতি ছিল। এর কারণ সম্ভবত জ্বালানির ট্যাংক থেকে হিলিয়ামের সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল না। ফলে শেষ মুহূর্তে হয়তো লঞ্চপ্যাডে আছড়ে পড়ে রকেটটি, আঘাতে ভেঙে যায় নিচের প্রান্তের অংশবিশেষ।

স্টারশিপের পরবর্তী সংস্করণে যেন এমন সমস্যা না থাকে, সে জন্য স্পেসএক্স কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন মাস্ক।

স্পেসএক্সের স্টারশিপ মূলত ‘হেভি-লিফট লঞ্চ ভেহিকল’। অর্থাৎ উড্ডয়নের সময় প্রচুর থ্রাস্টের প্রয়োজন হয়। পৃথিবীর কক্ষপথ কিংবা আরও দূরে মানুষ ও মালামাল পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হবে এটি। এসএন১০ মডেলটি বিস্ফোরিত হলেও স্পেসএক্সের পরীক্ষামূলক চেষ্টায় তা প্রভাব ফেলছে না। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে স্টারশিপের নতুন আরেকটি মডেল নিয়ে কাজ শুরু করেছে। চতুর্থ উড্ডয়নের জন্য এসএন১১ মডেলটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বোকা চিকায় নেওয়া হয়েছে।

সূত্র: এনগ্যাজেট

আরও পড়ুন