ইলন মাস্কের মহাকাশ থেকে ইন্টারনেট সেবায় আগ্রহী পাঁচ লাখ

স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্পের ইন্টারনেট সেবার জন্য পাঁচ লাখ আগাম ফরমাশের আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইলন মাস্ক
রয়টার্স

সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া শুরু করছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। স্টারলিংক নামের সেবাটির জন্য এরই মধ্যে পাঁচ লাখ আগাম ফরমাশ বা প্রি-অর্ডার জমা পড়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার টুইটারে জানিয়েছেন মাস্ক। এ পরিমাণ চাহিদা মেটাতে কোনো ধরনের কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হবেন না বলে আশা করছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদক টুইটারে লেখেন, প্রি-অর্ডারের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে ৯৯ ডলার করে নিয়েছে স্পেসএক্স। তবে চাইলে সে অর্থের পুরোটা ফেরত পাওয়া যাবে, আবার আগাম অর্থ নিলেও স্টারলিংক শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ না-ও দেখতে পারে।

ইলন মাস্ক সেই টুইটের জবাবে লেখেন, ‘একমাত্র সীমাবদ্ধতা হলো শহুরে এলাকায় ব্যবহারকারীদের আধিক্য। চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তখন হব, যখন আমাদের ব্যবহারকারী কয়েক কোটিতে পৌঁছাবে।’

ঠিক কবে থেকে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু হবে, স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়নি। তবে ২০২০ সালে চালুর পরিকল্পনা ছিল প্রতিষ্ঠানটির, যা শেষমেশ সম্ভব হয়নি।

স্টারলিংক প্রকল্পের জন্য মহাকাশে সব মিলিয়ে ১২ হাজার স্যাটেলাইট পাঠাতে চায় স্পেসএক্স। এতে কমবেশি এক হাজার ডলার খরচ হতে পারে বলে প্রতিষ্ঠানটির ধারণা।

রকেট তৈরি এবং মহাকাশে পাঠানো খুবই ব্যয়বহুল ব্যবসা। তবে বিশ্বের দুই শীর্ষ ধনী—জেফ বেজোস ও ইলন মাস্ক এর পেছনে রয়েছেন। মাস্ক ও বেজোসকে এর আগে তাঁদের স্যাটেলাইট ব্যবসা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে মন্তব্য ছুড়তে দেখা গেছে।

মাস্ক তাঁর বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসা লাভজনক করতে বছরের পর বছর ধরে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছেন। মহাকাশেও হয়তো একই ধরনের পরিকল্পনা তাঁর।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে কক্ষপথে স্পেসএক্সের কিছু স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)। তবে নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছে। এদিকে আমাজনের কাইপার সিস্টেমস প্রকল্পের আওতায় নিযুক্ত স্যাটেলাইট থেকে সংকেত আদান–প্রদানে বাধা থাকতে পারে বলে মেনে নিয়েছে স্পেসএক্স।