এ বছরেই ১০০ কোটির বেশি মানুষ ফাইভ-জির আওতায়

সুইডেনের স্টকহোমে এরিকসনের সদর দপ্তরের সামনে প্রতিষ্ঠানটির লোগো
ছবি: রয়টার্স

২০২৬ সালে প্রতি ১০টি মুঠোফোন সংযোগের চারটি হবে ফাইভ-জি–সমর্থিত। আর চলতি বছরের মধ্যেই ১০০ কোটির বেশি মানুষ, অর্থাৎ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশের বেশি ফাইভ-জি কভারেজের আওতায় থাকবে, তবে ফাইভ-জি সংযোগ হবে প্রায় ২২ কোটি। এরিকসন মোবিলিটি রিপোর্টের সর্বশেষ সংস্করণে এমন অনুমান করা হয়েছে।

এরিকসনের প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালে বিশ্বের ৬০ শতাংশ জনগণ ফাইভ-জি কভারেজের আওতাভুক্ত হবে এবং ফাইভ–জি সংযোগ সাড়ে ৩০০ কোটিতে পৌঁছে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশেনিয়ার অঞ্চলগুলোতে ২০২৬ সালে ফোর-জি এলটিইর পর ফাইভ-জি হবে দ্বিতীয় জনপ্রিয় মুঠোফোন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি।

চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও থাইল্যান্ডে লাইভ নেটওয়ার্কসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়াতে বাণিজ্যিকভাবে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ফাইভ-জি চালু হতে দেখা গেছে। এরিকসন বাংলাদেশের প্রধান আবদুস সালাম বলেন, ফাইভ-জি বিভিন্ন দেশে চালু হচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে ফোর-জি (এলটিই) নেটওয়ার্ক বিস্তারের গতি এখনো অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সালে বিশ্বের ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ ফোর-জি কভারেজের আওতাভুক্ত হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

ফাইভ-জির সম্প্রসারণ কেবল মুঠোফোন সংযোগ এবং নেটওয়ার্কের আওতায় সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বরং নতুন নতুন ব্যবহার যুক্ত হবে। বিশেষ করে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং ক্লাউড গেমিং প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে।

২০২৬ সালে প্রতি ১০টি মুঠোফোন সংযোগের চারটি ফাইভ-জি–সমর্থিত হবে বলে এরিকসনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে
ছবি: রয়টার্স

এদিকে এরিকসন কনজ্যুমার ল্যাবের নতুন ফাইভ-জি কনজ্যুমার পটেনশিয়াল প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ফাইভ-জি কনজ্যুমার বাজারের মূল্য ৩১ ট্রিলিয়ন (১ ট্রিলিয়ন সমান ১ লাখ কোটি) মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে, যার মধ্যে যোগাযোগ সেবাদানকারীরা (সিএসপি) আয় করবে মোট ৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। ডিজিটাল সেবায় নতুন সুযোগ বৃদ্ধির সঙ্গে এই আয়ের পরিমাণ আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে অনুমান করা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়াতে ২০৩০ সালের মধ্যে ফাইভ-জি সক্রিয় গ্রাহক রাজস্ব খাতে সিএসপিগুলো ২৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার আয় করতে পারবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ফাইভ-জি ব্রডব্যান্ড-নির্ভর সেবার বাজার প্রায় ২২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে পৌঁছে যাবে। আর সামগ্রিক সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে ফাইভ-জি ডিজিটাল সেবার ৭৯ শতাংশের রাজস্ব ২০৩০ সালের মধ্যে হবে সাড়ে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। ফাইভ–জি ডিজিটাল সেবার মধ্যে ভিডিও, মিউজিক, গেমিং, অগমেনটেড ও ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি এবং ভোক্তা আইওটি সেবা অন্তর্ভুক্ত।