কক্সবাজারে ওয়ালটনের সম্মেলনে করোনা–পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রত্যয়

কক্সবাজারের ‘হোটেল রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’তে অংশ নেন ২ সহস্রাধিক ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে ছিলেন ওয়ালটনের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

করোনা মহামারি–পরবর্তী ইলেকট্রনিকস ব্যবসার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রত্যয় নিয়ে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো ওয়ালটনের ব্যবসায়িক সম্মেলন। ‘হোটেল রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’তে গত মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ওই সম্মেলনে অংশ নেন সারা দেশের ২ সহস্রাধিক ব্যবসায়ী। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ওয়ালটনের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আতশবাজির মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, এস এস মাহবুবুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নিশাত তাসনিম শুচি, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার, হুমায়ূন কবীর ও লিয়াকত আলী, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, তানভীর রহমান, মোহাম্মদ রায়হান, ফিরোজ আলম, আনিসুর রহমান মল্লিক, মোস্তফা নাহিদ হোসেন, মফিজুর রহমান, আল ইমরান প্রমুখ।

‘মিট দ্য পার্টনারস’ শীর্ষক দেশীয় ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ ওই সম্মেলন সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক আমিন খান। সম্মেলনে করোনা–পরবর্তী পরিস্থিতিতে ব্যবসায়িক কলাকৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন বক্তারা।

এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ‘করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যবসায় ধস নেমে এসেছে। অনেক বড় বড় কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও ওয়ালটনের অগ্রগতি অব্যাহত আছে। করোনার সময়ে আমরা ব্যবসাকে প্রাধান্য না দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ভেন্টিলেটর, ফেস শিল্ড, সেফটি গগলস, মেডিকার্ট রোবট ইত্যাদি তৈরি করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণ হবে, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে, ওয়ালটন সব সময় এমন পণ্য তৈরি করে আসছে।’

এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ওয়ালটনের তৈরি বিভিন্ন হাইটেক পণ্য বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। ওয়ালটন কম্প্রেশর বিশ্বের অন্যতম সেরা। আমরা দেশেই লিফট বা এলিভেটর তৈরি করছি। বিশ্বের ৯ম দেশ হিসেবে ওয়ালটন বাংলাদেশে ভিআরএফ (ভ্যারিয়েবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো) এসি তৈরি করছে। ওয়ালটনের টিভি, ফ্রিজ, এসি, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-কম্পিউটার, হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স আজ দেশের ঘরে ঘরে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ালটনের ব্যবসায়িক অংশীদারেরা (ডিস্টিবিউটররা) হলেন ড্রিমার। এ ধরনের সম্মেলনের ফলে আমাদের মাঝে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও মজবুত ও দৃঢ় হবে।’

ডিস্ট্রিবিউটরদের বিজনেস পার্টনার হিসেবে উল্লেখ করে প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘বৃহৎ কোনো লক্ষ্য অর্জন একার পক্ষে সম্ভব না। টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে ওয়ালটনকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব। রেফ্রিজারেটরের মতো সব পণ্যে বাংলাদেশের শীর্ষে থাকবে ওয়ালটন। ভিনদেশি কোনো ব্র্যান্ডকে আমরা রাজত্ব করতে দেখতে চাই না।’

সম্মেলন উপলক্ষে হোটেল রয়েল টিউলিপের সামনে সমুদ্রসৈকতে তৈরি করা হয় সুবিশাল উন্মুক্ত মঞ্চ। বর্ণিল ব্যানার-ফেস্টুন ও সুসজ্জিত তোরণে সাজানো হয় পুরো কক্সবাজার শহর। সম্মেলনে ওয়ালটনের বিভিন্ন অঞ্চলের সেরা এরিয়া ম্যানেজার, ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলারদের পুরস্কৃত করা হয়। ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিজ্ঞপ্তি