কয়েক লাখ নতুন ছায়াপথের ম্যাপ তৈরি

অস্ট্রেলিয়ান স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে পাথফাইন্ডার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে আকাশের মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে
ছবি: সিএসআইআরও-এর সৌজন্যে

অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তাঁরা মরুভূমিতে একটি উন্নত টেলিস্কোপ ব্যবহার করে কয়েক লাখ নতুন ছায়াপথের ম্যাপ তৈরি করেছেন। জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থা সিএসআইআরও বলছে, নতুন টেলিস্কোপ রেকর্ড সময়ে মহাবিশ্বের একটি নতুন মানচিত্র তৈরি করেছে, যাতে অভূতপূর্ব বিশদ তথ্য রয়েছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, তাঁরা নতুন সব মিলিয়ে ৩০ লাখের বেশি ছায়াপথের মানচিত্র তৈরি করেছেন। আগের গবেষণার চেয়ে এতে যে ছবি পাওয়া যাবে, তাতে দ্বিগুণ তথ্য পাওয়া যাবে।

জ্যোতির্বিদেরা আশা করছেন, তাঁদের এ মানচিত্র মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুন আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে।

সিএসআইআরও বলছে, ম্যাপটি তৈরি করতে মাত্র ৩০০ ঘণ্টা সময় লেগেছে, যেখানে পুরো আকাশ সমীক্ষায় কয়েক বছর সময় লাগত।

গবেষণা প্রবন্ধের প্রধান লেখক ডেভিড ম্যাককনেল বলেন, মানচিত্র সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা নক্ষত্র সৃষ্টি থেকে শুরু করে ছায়াপথ ও কৃষ্ণগহ্বরের মতো বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করতে পারবেন।

গবেষক ম্যাককনেল বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতের সমীক্ষায় আরও লাখ লাখ ছায়াপথের সন্ধান পাব।’

আজ মঙ্গলবার পিয়ার-রিভিউড জার্নাল ‘পাবলিকেশন অব দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব অস্ট্রেলিয়া’য় এ গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল জানানো হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ান স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে পাথফাইন্ডার (এএসকেএপি) টেলিস্কোপটি মূলত ৩৬টি ডিশ এন্টেনার একটি নেটওয়ার্ক, যা আকাশের প্যানারোমা ছবি তোলে। এটি পার্থ থেকে ৭০০ কিলোমিটার উত্তরে সিএসআইআরওয়ের মর্চিসন অবজারভেটরিতে ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।

সিএসআইআরও বলেছে, ছোট ছোট ডিশ থেকে সংকেত গ্রহণ করে উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি ধারণ করা হয়। এতে খুব বড় ডিশের তুলনায় খরচ অনেক কম।

অস্ট্রেলিয়ার পুরো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চেয়েও দ্রুতগতির বিশাল এ তথ্য পার্থের সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করে ছবি তৈরি করা হয়।

এএসকেএপি চলতি বছরই প্রথম আকাশ জরিপ করে, যাতে আকাশের ৮৩ শতাংশ এলাকা এর আওতায় পড়েছে। পুরো ম্যাপটি ৯০৩টি উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি একত্র করে তৈরি করা হয়েছে। এর আগে আকাশের পুরো একটি ছবি নিতে হাজারো ছবির প্রয়োজন পড়ত।