গুগল-আমাজনের আধিপত্য কমাতে লিনা খানকে এফটিসির প্রধান করলেন বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের প্রধান হলেন লিনা খানরয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে লিনা খানের নাম ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) কাজ মূলত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য কমিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ানো। সে সঙ্গে গ্রাহকের অধিকার রক্ষার দায়িত্বও কমিশনটির।

ই-কমার্স সেবাদাতা আমাজনের বড় সমালোচক হিসেবে পরিচিত লিনা খান। অসম প্রতিযোগিতা হ্রাসের জন্য কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরেই। এ–বিষয়ক আইনগুলোতে পরিবর্তনের জন্যও সোচ্চার তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে, ‘বিগ টেক’ হিসেবে পরিচিত অ্যাপল, আমাজন, গুগল, ফেসবুকের মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর খড়্গহস্ত হতেই লিনা খানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। মার্কিন সিনেটে গতকাল মঙ্গলবার ৬৯-২৮ ভোটে নির্বাচিত হন তিনি।

লিনা খান
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির আইনের সহযোগী অধ্যাপক লিনা। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্ম হলেও তাঁর মা-বাবা পাকিস্তানি। লিনার বয়স যখন ১১, তখন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তাঁরা।

ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে আইন নিয়ে পড়াশোনার সময় পরিচিতি পান লিনা খান। সে সময় আধুনিক অ্যান্টিট্রাস্ট আইনগুলো ই-কমার্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আমাজনের আসল ক্ষমতা নির্ণয়ে কী কারণে ব্যর্থ, তা নিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সে গবেষণাপত্র খবরের শিরোনাম যেমন হয়েছিল, তেমনই নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিও কেড়েছিল।

চুপচাপ স্বভাবের লিনা খান বরাবরই পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করে গেছেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রায় ১৬ মাসের তদন্তে মার্কিন কংগ্রেসের হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির হয়ে কাজ করেছেন। এফটিসির কমিশনার রোহিত চোপড়ার উপদেষ্টার ভূমিকাতেও দেখা গেছে তাঁকে। গত বছর তিনি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।

ফেডারেল ট্রেড কমিশনে মোটে পাঁচ কমিশনার। লিনা খানসহ তাঁদের তিনজন ডেমোক্র্যাট। তাঁরা সবাই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কঠোর আইন প্রবর্তনের পক্ষে।