টিকটক আপাতত বিক্রি হচ্ছে না

টিকটক বিক্রি হচ্ছে না
ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ওরাকলের কাছে টিকটক বিক্রির চিন্তা আপাতত তুলে রাখছে টিকটকের মালিক বাইটড্যান্স। ট্রাম্প প্রশাসনের চাপে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভিডিও শেয়ারের অ্যাপটির পুরো ব্যবসা বিক্রি করার চুক্তি করতে যাচ্ছিল বাইটড্যান্স। কিন্তু হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্পের বিদায়ের পর নতুন করে ভাবছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নাম প্রকাশ না করে বাইটড্যান্সের একটি সূত্র বলেছে, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি পূরণ করতে গিয়ে ওই চুক্তির পথে হেঁটেছিল বাইটড্যান্স। কিন্তু ট্রাম্পের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে টিকটক বিক্রির কারণও বিদায় নিয়েছে।’

ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন ছিলেন ট্রাম্পের সমর্থক। বাইটড্যান্স ভেবেছিল, ট্রাম্প যদি আবার নির্বাচনে জিতে যান, তবে টিকটক বিক্রির চুক্তি করে মূল্যবান সম্পর্ক গড়ে তোলা যাবে। কিন্তু নির্বাচনে বাইডেন জেতার পর থেকেই ওই চুক্তির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি।  

গত সপ্তাহে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানায়, টিকটক বিক্রির পরিকল্পনা অনির্দিষ্টকালের জন্য তুলে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ট্রাম্পের আমলে চীনা প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে যেসব প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার বিস্তৃত পর্যালোচনা করবেন।

এদিকে বাইটড্যান্স যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কার্যক্রম চালাতে নতুন কাঠামোর সন্ধান করছে। প্রশাসন পরিবর্তনের পর টিকটক এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রক সংস্থার একটি সূত্র সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা কার্যক্রম বিক্রির চুক্তি করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা ঠিক করে দিয়েছিল চীন সরকার। তবে বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে সরকার হস্তক্ষেপ করেনি।

সরকারের পক্ষ থেকে মূলনীতি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিল টিকটকের মূল অ্যালগরিদম বিক্রি না করার বিষয়টি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের চাপে নত না হওয়ার জন্যও বাইটড্যান্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয়, এতে চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।

গত বছরের আগস্ট মাসে ওয়াশিংটনের চাপে পড়ে বাইটড্যান্স টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা বিক্রির জন্য আলোচনা শুরু করে। সম্ভাব্য ক্রেতার তালিকায় ছিল মাইক্রোসফট ও ওরাকল। ওই সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, টিকটক বিক্রি না করলে তা যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হবে। এ জন্য সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন তিনি।

তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টিকটক পরিচিতি পেলেও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, মার্কিন নাগরিকদের তথ্য বেইজিংকে দেয় টিকটক। অবশ্য টিকটকের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।